দীর্ঘ ১৬ বছর পর কেডিএ দখলদার মুক্ত করতে ভাঙ্গল অবৈধ স্থাপনা
# বিশিষ্ট তেল ব্যবসায়ী বাবুল বুঝে পেলেন প্লট #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ দীর্ঘ ১৬ বছর পর খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) দখলদার মুক্ত করলো। তারা দখলদার মুক্ত করে প্লট মালিক বিশিস্ট তেল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বাবুলকে তার প্লট বুঝে দেয়। রবিবার সকালে নগরীর কেডিএ এভিনিউ ৭৪নং বাণিজ্যিক প্লটে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে তা মালিককে বুঝে দেয় কেডিএ। প্লট মালিক বাবুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আগে কেডিএ’র নিকট থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে এ প্লটটি পাই। কিন্তু আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের ব্যক্তি এ জমিরি মালিকানা দাবি করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন। যার নং-৮২১৮/১৬। দীর্ঘ দিন পর এ মামলায় কেডিএ জয়ী হয়। সে মতে, রবিবার কেডিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীনের নেতৃত্বে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে তাকে প্লট বুঝে দেয়। এ জন্য তিনি কেডিএ ধন্যবাদ জানান। কেডিএ সূত্রে জানা যায়, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মহাপরিকল্পনাধীন এলাকায় রবিবার সকাল ১০টায় সোনাডাংগা থানার অর্ন্তগত বানিয়াখামার মৌজাধীন কেডিএ এভিনিউ সড়ক পার্শ্বস্থ্য প্লট নং-৭৪ এর উপর অবৈধভাবে দখলকৃত সেমিপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্লট মালিককে দখল বুঝে দেওয়া হয় এবং কেডিএ আউটার বাইপাস রোড পার্শ্বস্থ্য বাণিজ্যিক প্লট নং-৩৮ এর উপর নির্মাণাধীন দ্বিতলা ভবনের সম্মুখের খেলাপী অংশ আংশিক অপসারন করে বাকী অংশ অপসারনের জন্য ভবন মালিককে সময় বেধে দেয়া হয়। দৌলতপুর থানার অর্ন্তগত পাবলা মৌজাধীন আর এস দাগ নং-১০৮৬, ১০৮৭ (অংশ) এর উপর নির্মাণাধীন কাঠামো এর বিধি বর্হিভূতভাবে নির্মিত ৪টি কলাম অপসারণ করা হয়। খুলনা সদর থানার অর্ন্তগত বানিয়াখামার মৌজাধীন ৭৮/১, ফরাজী পাড়া রোডস্থ ফুল মার্কেট সংলগ্ন আর এস দাগ নং-১৮৩৭৮, ১৮৩৭৯ (অংশ) এর উপর নির্মাণাধীন ২তলার খেলাপী অংশ অপসারন করা হয় এবং পূর্ব বানিয়াখামার কমিশনার গলি (৮ম গলি) সংলগ্ন এস এ দাগ নং-৬৫০১ এর উপর নির্মিত ২তলা ভবনের কিছু অংশ অংপসারণ করা হয় এবং অবশিষ্ট অংশ লাল রং দ্বারা চিহ্নিত করণসহ অপসারনের জন্য ৩০দিন বেধে দেয়া হয়। অর্থাৎ কেডিএ মহাপরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় অননুমোদিত ও খেলাপী নির্মাণকারী ৫ জন মালিকের বিরুদ্ধে কেডিএ কর্তৃক বিভিন্ন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেডিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাজিয়া আফরীনের উপস্থিতিতে উক্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। কেডিএ স্থায়ী সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শবনম সাবা ও অথরাইজড অফিসার জি এম মাসুদুর রহমান উক্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তাছাড়া কেডিএ’র বৈষয়িক অফিসার এম,কে সাদ ও ইমারত পরিদর্শকগণসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করেন। পরিকল্পিত নগরায়নের স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ ধরণের অননুমোদিত, খেলাপী ও অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে। তাই পরিকল্পিত খুলনা গড়ার প্রত্যয়ে ও ভবন মালিকগণের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি পরিহারের লক্ষ্যে নকশা অনুমোদন ব্যতীত ও নকশার বর্হিভূত এবং অবৈধ দখলদারিত্বের মাধ্যমে যে কোন নির্মাণ কাজ হতে বিরত থাকতে সকলকে উদাত্ত আহবান জানায় কেডিএ।