স্থানীয় সংবাদ

বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অবকাঠামোসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে

# ভৈরব সেতু পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অবকাঠামোসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। ভালো কাজ করতে হলে সময় একটু বেশি লাগে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন ব্রীজ নির্মাণ করে নদীকে মেরে না ফেলা হয় আমাদের প্রাণের একটা দুঃখ আছে, ব্রিজটা হচ্ছে না। হবে হবে দেখি। কবে আমরা ব্রিজের উপর দিয়ে যাবো? আমাদের প্রাণের ব্যথাটা আপনারা দূর করেন। তিনি বলেন, ব্রিজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে জিজ্ঞেস করলাম আপনারা নৈতিক একটা প্রতিশ্রুতি দেন কবে নাগাদ ব্রিজের কাজ শেষ করতে পারবেন। জবাবে তারা বললেন ১৪ মাস কি ১৬ মাস সময় লাগতে পারে। তিনি বলেন, রোডস এন্ড হাইওয়ের কথা শুনে মনে ওরা স্টিল ব্রিজে যাবে কি/না এখনো বিবেচনায় আছে। স্টিল স্ট্রাকচারে যাবে না কংক্রিট স্ট্রাকচারে যাবে এখনও বিবেচনায় আছে। স্টিল ব্রিজে যদি আমরা যাই তাহলে নদীর নাব্যতা বেশিদিন রাখা সম্ভব হবে। স্টিল বা কংক্রিট স্ট্রাকচারে খরচের তেমন কোন পার্থক্য নেই। অতিরিক্ত সময় বা অতিরিক্ত ব্যয় কিছু হবে না। সামান্য হেরফের হতে পারে। সে সকল বিবেচনা প্রথম থেকে যদি করতো। ড. মসিউর রহমান সোমবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় ভৈরব সেতুর দিঘলিয়া প্রান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে তিনি সেতুরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিঃ (করিম গ্রুপ)’র বেজ ক্যাম্পে সেতুর বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) আয়োজিত সেতুর দিঘলিয়া প্রান্ত পরিদর্শন শেষে পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। পর্যালোচনা সভায় দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) ‘র খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ, দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ, সেতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিঃ (করিম গ্রুপ) ‘র ডাইরেক্টর সাখাওয়াত হোসেন, সওজ ‘র এডি প্রসেনজিৎ পাল, ফেরী বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজম শেখ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান, ফয়সাল শেখ, মোঃ হাবিব মিয়া, এসডি গোপেশ, ভৈরব সেতু প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী এস এম নাজমুলসহ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রকৌশলী বৃন্দ। এরপর দুপুর ১ টায় ড. মসিউর রহমান দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটীতে অবস্থিত দিঘলিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুল হকের সঙ্গে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মত বিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ, আলহাজ্ব সারোয়ার খান কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আসিফ আলতাফসহ প্রশিক্ষকবৃন্দ। পরে তিনি তার জন্মস্থান সুগন্ধি গ্রামে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন দিঘলিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলরাম কুমার মন্ডল, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মুঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারি প্রকৌশলী মোঃ জুলফিকার আলী, খান মোঃ জিল্লুর রহমান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সৈকত এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স এস ই এন্ড এম এ এস জেভি’র কর্মকর্তা বৃন্দ।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় “উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯ টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন (২য় পর্যায়ে)” প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজটি নির্মিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button