যশোরে গভীর রাতে যুবককে গুলি করে হত্যা : ৬ জনের নামে মামলা
যশোর ব্যুরো ঃ গত ৭ জুন গভীর রাতে যশোর সদরের বাহাদুরপুর মোহাম্মাদিয়া হাউজিং রাস্তা সংলগ্ন বাবুর বাড়ির সামনে আরিফের মেহেগুনী বাগানের মধ্যে মাটি-বালি ও পুরাতন মটর গাড়ীর ব্যবসায়ী আলী হোসেন (৩০) হত্যাকান্ডে নিহর মাতা মোাছাঃ মঞ্জুয়ারা বেগম বাদি হয়ে হত্যার দুই দিন পর কোতয়ালি থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। মামলার আসামীরা হচ্ছে,যশোর সদরের কিসমত নওয়াপাড়ার মবজেল হোসেনের ছেলে নবাব হোসেন,সহোদও সিরাজ,একই উপজেলার পাঁচ বাড়ীয়া স্কুলপাড়ার শফিয়ার রহমানের ছেলে ইকরামুল,বাহাদুরপুর পশ্চিমপাড়ার আলতাফ হোসেনের ছেলে টোকন, চাঁচড়া ভাতুড়িয়া নারায়নপুর গ্রামের নুর ইসলাম মহুরীর ছেলে ইসরাজুল ও ঘুরুলিয়া বর্তমানে কিসমত নওয়াপাড়া স মিলের সামনে রাস্তার বিপরীতে মটর গাড়ীর গ্যারেজ ঘরের ভাড়াটিয়া আমির হোসেনের ছেলে এনামুল শেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার ছেলে আলী হোসেন মাটি-বালি ও পুরাতন মটর গাড়ীর ব্যবসা করে। গত ৫ জুন যশোর সদর উপজেলা নির্বাচনে মটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পাশ করায় তাদের পক্ষ থেকে পরের দিন ৬ জুন সন্ধ্যায় ই ব্লক ১ নং রোডের মাথায় এক প্রীতি ভোজের অনুষ্ঠান করে। বাদির ছেলে ও তার সাথী সোহান ও নয়ন উক্ত প্রীতিভোট অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়া করে রাতে বাড়ি ফিরছিল। রাত ১২ টা বেজে ১০ মিনিটে বাহাদুরপুর জেস গার্ডেন পার্ক সড়ক তেঁতুলতলার মোড়স্থ নাছিরের সিমেন্ট বালুর দোকানের সামনে পৌছালে আসামীদের দেখে চিনতে পারে। সেখান থেকে আলী হোসেনকে আসামীরা জোর পূর্বক ধরে বাহাদুুরপুর মোহাম্মাদিয়া হাউজিং রাস্তা সংলগ্ন বাবুর বাড়ির সামনে আরিফের মেহেগুনী বাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে নবাব হোসেন পিস্তল বাদির ছেলের কপালে ঠেকিয়ে গুলি করে। সিরাজ হোসেন বুকে ও অন্যান্য আসামীরা পর্যায়ক্রমে আলী হোসেনকে গুলিবিদ্ধ করে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আলী হোসেনকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে। নবাব হোসেনের নেতৃত্বে আসামীরা বাদির ছেলেকে একাধিক গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কেউ আটক হয়নি। তবে আটকের ব্যাপারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে।