স্থানীয় সংবাদ

নগরীতে খাইট্রা ও হোগলা পাটির ব্যবসা জমজমাট, দাম চড়া

কড়া নাড়ছে ঈদুল আযহা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খড়, ঘাস, ভূসি, কাঁঠাল পাতা, রঙিন দড়ি, লাঠি, মালার পসরা সাজানো ছোট ছোট দোকান। কোরবানির পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা পশুকে খাওয়াতে ও সাজাতে এসব দোকান থেকে আনুষঙ্গিক উপকরণ কিনছেন। সাথে কিনছেন খাইটা ও পাটি। খুলনার জোড়াগেটের পশুর হাটের সামনের অস্থায়ী এসব দোকানি স্বল্প পুঁজির পণ্য নিয়ে বসলেও বেচা-বিক্রি ভালো হওয়ায় রমরমা ব্যবসা করছেন।
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির পশুটিকে সাজানোর জন্যে সবার আগ্রহ থাকে। পশুটিকে সবল রাখতে খামারি-ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা খড়, কুটা, ঘাস ও ভূসি এবং মাংস বানাতে কাঠের পাটাতন (গুঁড়ি), দা, ছুরি, বটি কিনে থাকেন। তাদের চাহিদা পূরণে প্রতি বছর স্বল্পপুঁজি নিয়ে জোড়াগেট পশুর হাটসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা করেন তারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি আঁটি খড় ও ঘাস ২০-৩০ টাকা, প্রতি পিস গলার মালা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ঝুড়ি মালা ২০ থেকে ২৫ টাকা ও রিং মালা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, প্রতি ৫ হাত রশি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ১০ হাত রশি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দোকানি মাখুনী বেগম বলেন, ‘জমে উঠেছে আমাদের ব্যবসা। প্রতি বছর কোরবানির আগে কিছুটা বাড়তি আয়ের লক্ষ্যে পশুর হাটের আশপাশে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে বসেন। ঈদের আগে ৩ থেকে ৪ দিন ধরে জমে ওঠে পশুর খাবার ঘাস, শুকনো খড়, ভূষি, কাঁঠালের পাতা, কাঠের গুড়ি, পাটিসহ আনুষঙ্গিক নানা উপকরণের ব্যবসা’।
তিনি জানান, কাঠের গুড়ির দাম ১৫০-২৫০ টাকা, যা গত বছর ছিল ১৩০-২০০ টাকা। শুকনো খড় (বিছালী) আটি ৫০ টাকা। এক হাজার বিছালী ৫ হাজার টাকা। ভূষি-৬০ টাকা কেজি, কুড়া ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
জোড়াগেট এলাকার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছরই আমি এ হাটে কাঠের গুড়ি ও পাটির দোকান দিয়ে থাকি। এ ব্যবসায় ২০ হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে বসলে ৪০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব’। গুড়ির দাম ২০০-৩০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ১৫০-২০০ টাকা। পাটি ১০০-১৫০ টাকা। যা গত বছর ছিল ১৩০-২০০ টাকা। এখানে প্রায় অর্ধশত মৌসুমী ব্যবসায়ী আছেন। যারা স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা করে যান। এসব গুড়ি খালিশপুর কদমতলা কাঠগোলা থেকে আনা হয়। বিক্রেতা পারভিন জানান, কোরবানির পশু কেনার পর ক্রেতারা খড়, কুটা, হোগলা, কাঁঠাল পাতা কিনে নেন। বেশি চাহিদা থাকে খড়, কাঁঠাল পাতা ও ফুলের মালার। ফলে এ সময় এটি তাদের বাড়তি আয়ের একটি পথ করে দেয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button