ঈদ সামনে রেখে নতুন রূপে সেজেছে খালিশপুর শিশুপার্ক
শিশুদের জন্য নতুন চমক ‘সুইমিং পুল’
খলিলুর রহমান সুমন ঃ ঈদ সামনে রেখে খুলনার বিনোদন কেন্দ্রগুলো সেজেছে নতুন রূপে। কোথাও সংস্কার করা হচ্ছে রাইডগুলো, কোথাও পড়ছে নতুন রঙের আঁচড়। ধুয়েমুছে সাফ করা হচ্ছে এখানে-ওখানে থাকা ময়লা-আবর্জনা। খেলনাগুলোর গায়ে লাগছে নতুন রঙের আঁচড়। কোথাও কোথাও করা হচ্ছে মেরামত। রিসোর্টগুলো কাপড়-চোপড় বদলে করা হয়েছে ঝকঝকে। এই চিত্র শিল্পনগরী খালিশপুরের অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র ওয়ান্ডাল্যান্ড শিশুপার্ক। ঈদ সামনে রেখে ক’দিন ধরেই পার্কটিতে চলছে রং লাগানো আর সংস্কার কাজ। গত শুক্রবার রঙের কাজ শেষ হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে পার্কটিতে গিয়ে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। পার্কে আলোকসজ্জার কাজ করছিলেন কর্মীরা। নগরীর খালিশপুরে ঝিল পুকুর পাড়ে গড়ে তোলা পার্কটি এমনিতেই বহু রাইডে সমৃদ্ধ। এবার ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে নতুন করে পার্কটিতে শিশুদের জন্য যোগ হয়েছে সুইমিং পুল। এই পার্কটিতে বিভিন্ন বয়সীদের জন্য অন্তত ১৪টি রাইড আছে। তবে দর্শনার্থীদের পছন্দের শীর্ষে ওয়ান্ডার হুইল। পার্ক পরিচালনাকারী কোম্পানি জেনারেল ম্যানেজার বীরমুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘গত দু’ বছর করোনার কারণে মানুষ বেড়াতে পারেনি। ঈদের দুপুর থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহে অন্তত কয়েক হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে আশা করছি। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি।’ করোনার থাবায় গত দু’ বছর ঈদে অনেকটাই ঘরবন্দী সময় কেটেছে সবার। স্বাস্থ্যবিধি ও দূরত্ববিধি মানতে বন্ধ ছিল বিনোদনকেন্দ্রগুলোও। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। সে জন্য ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কের মতো পুরোদমে দর্শকদের আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুতি নিয়েছে বিনোদনকেন্দ্রগুলো। এসব পার্ক পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের আশা গত দু’ বছরের ক্ষতি এবার কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠবে। তবে অতিরিক্ত ‘গরম’ নিয়ে তাঁরা কিছুটা ভয়ে আছেন। কারণ গরম বেশি হলে মানুষ কম ভিড়তে পারেন। নতুন করে পার্কে সংযোজন হয়েছে, রোলার কোস্টার, জেড কোস্টার, অক্টোপাস, সুপার চেয়ারসহ নানা ধরনেল খেলনা। যা দর্শনার্থীদের বিনোদন দিতে পারবে বলে তিনি মনে করেন। পার্কের ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, পার্কে প্রবেশ মূল্য মাথা পিছু ১০০ টাকা আর প্রতি থেলনা ওঠা বাবদ ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিনোদনপ্রিয় মানুষদের জনপ্রিয় খেলনা ওয়েভ পুল উদ্ব্যোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ পার্ক দর্শনাথীদের জন্য খোলা থাকবে।