পথের বাজারে অন্তঃসত্বা গৃহবধূর শ্লীলতাহানী
# ভিকটিমের ছোট শিশু সন্তানকে কুপিয়ে জখম : থানায় মামলা আসামি আটক
মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি #
আটরা গিলাতলা প্রতিনিধি: নগরীর পথেরবাজারে অন্তঃসত্বা গৃহবধূর শ্লীলতাহানী ও তার ১১ বছর শিশু সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে একই এলাকার প্রভাবশালী সন্ত্রাসী বাহিনী । এ ঘটনায় ভুক্তভোগি ওই নারী বাদি হয়ে ফুলতলা থানায় পথের বাজার এম এসকে গেট সংলগ্ন আবু আহম্মেদ মোল্লার পুত্র এম এসকের বাবুর্চি রাকিব শেখ (৩৮) তার স্ত্রী শিলা পারভিন সহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জন এর নামে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ৭ জুন বিকাল আনুমানিক ৪ টার দিকে হঠাৎ বাদির বসত বাড়ির সামনে এসে বিবাদীরা এলোপাতাড়ি মারপিট করে । এ সময় আসামি রাকিব শেখ বাদির শিশু কন্যা ইমু (১১)কে হত্যার উদ্যেশ্যে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করে। বাদি হাসিনা তার শিশু মেয়েকে বাঁচাতে গেলে বিবাদীরা বাদীর পরনের কাপড় ধরে টানা হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং বাদি অন্তঃসত্বা জেনেও বাদিকে বেধড়ক মারপিট করে নিলাফোলা জখম করে । তখন বাদীর চিৎকারে স্থানয়িরা এগিয়ে আসলে আসামিরা তাদেরকেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে । পরবর্তীতে স্থানিয়রা গুরুতর জখম মামলার বাদী হাসিনা ও তার শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায় শিশু কন্য ইমুর মাথায় ৫ টি সেলাই লেগেছে ও মামলার বাদি হাসিনার শরিরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের দাগ রয়েছে। এর আগেও বিবাদীরা কয়েকদফায় মামলার বাদি হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মারধর করে নিলাফোলা জখম করেছে। ফুলতলা থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই থানায় মামলা হয়েছে এবং অভিযান চালিয়ে ১ ও ২ নং আসামিকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার বাদী হাসিনা বেগম বলেন গত ১৯ জুন আদালাতে মামলার ধার্য তারিখ ছিলো আদালত থেকে আসার পর একই এলাকার মোঃ আলীর পুত্র ও এম এসকের বাবুর্চি শহিদ ও মোকেলছ আমাকে ও আমার স্বামিকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এ ব্যপারে তিনি ফুলতলা থানার ওসি সহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। বর্তমানে মামলার ১ নং আসামি এম এসকে বাবুর্চি জেলহাজতে রয়েছেন। ১ নং আসামি রাকিব ও শহিদ এম এসকে চাকুরি করে এমন প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় দির্ঘদিন ধরে নিরীহ মানুষকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আসছে।