স্থানীয় সংবাদ

লাগামহীন নির্মাণ সামগ্রী উপকরণের দাম

বিপাকে আবাসন প্রস্তুতকারীও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান

শেখ ফেরদৌস রহমান: অস্বাভাবিক লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে নির্মাণ সামগ্রীর সকল উপকরেণের দাম। এতে করে বেশি বিপাকে পড়েছে আবাসন প্রস্তুতকারী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। মূল উপকরণগুলো যেমন- লৌহজাতীয় দ্রব্য রড, সিমেন্ট, পাথর, ইট, বিটুমিন, অ্যালুমিনিয়াম, বিল্ডিং ফিনিশিং আইটেমসহ এ খাতের প্রাায় সব ধরনের নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য অস্বাভাবিক ও লাগামহীনভাবে বেড়ে অসহনীয় পর্যায় পৌঁছেছে। এ দিকে ব্যবসায়িরা বলছে প্রতিবছর কোন না কোনভাবে বাড়ছে এসব নির্মাণ সামগ্রীর দাম। এর আগে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, জ¦ালানী তেলের দাম বৃদ্ধি সহ ডলারের দাম বেড়ে যাওয়াতে কাচামালের দাম বেড়েছে। যে কারণে দাম বাড়তী। এ বিষয়ে কথা হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মসার্স রিয়াজ কনস্ট্রাকশন এর পরিচালক মোঃ রিয়াজ এর সাথে তিনি বলেন, আমাদের রিয়াজ কনস্ট্রাকশন নামে আরও বেশ কয়েকটি চলমান উন্নয়নমুলক কাজ চলমান আছে। তবে, অধিকাংশ কাজ লোকশানের মধ্যে। এর মুল কারণ হলো গণপূর্ত অধিদপ্তরের সিডিউলে উল্লেখ থাকা মূল্য তালিকা অনুযায়ী কাজ নেয়া। আর হঠাৎ করে সব ধরনের নির্মান সামগ্রীর উপকরেণের দাম বৃদ্ধি পাওয়া ও পাশাপাশি মূল বিল হতে ভ্যাট, আইটিসহ প্রায় সাড়ে দশ শতাংশ বা কোন সময়ে তার থেকে বেশি মূল বিল হতে কর্তন করে নেয়া হয়। একদিকে পুরাতন রেট অনুযায়ী কাজ করা আবার নির্মাণ সামগ্রীর উপকরণের সব কিছু দাম বেড়ে যাওয়া। দেখবেন অধিকাংশ উন্নয়নমূলক কাজ স্থগিত আছে। এর কারণ সিডিউলের দেয়া নির্ধারিত মূল্যের সাথে বাজার দর সামঞ্জস্য নেই দামের সাথে পার্থক্য বেশি। একই কথা বলেন, খালিশপুরে বসবাসকারী আবাসন প্রস্তুতকারী মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানের সাথে তিনি বলেন, বাড়ী করা আমাদের মত মধ্যবিত্তদের এখন নাগালের বাইরে। বাড়ীর কাজে হাত দিতে গেলে প্রাথমিক অবস্থায় মনে হবে যে দশ লাখ টাকায় সব সম্পন্ন হবে। তবে একবার যখন কাজ শুরু করবেন দেখবেন তার থেকে দ্বিগুণ খরচ হয়ে গেছে। বর্তমান রডের দাম কিছুটা কমেছে ১০৩ টাকা কেজি রডের দাম এখন ৯৬ টাকা। তবে ইটের দাম বাড়তী। বর্তমান ১ হাজার ইটের দাম ১২ হাজার থেকে প্রকার ভেদে ১৫ হাজার টাকার মত। আবার বৃষ্টি হলে দাম বাড়তী। এছাড়া সিমেন্ট ৫১০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০শ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। বালু ৩৫ টাকা প্রতি ফিট থেকে শুরু করে প্রকার ভেদে ৭০ টাকা পর্যন্ত প্রতি ফিট বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টাইলস, বৈদ্যূতিক তার লৌহ জাতীয় সব কিছুর দাম আকাশছোঁয়া। এছাড়া এবছর বাজেটে সরাসরি নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির জন্য অনুমোদন হয়েছে। যেকারণে দাম বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক । এছাড়া শ্রমিক খরচ সহ অন্যান আনুসাঙ্গিক খরচ তো আছে। এ বিষয়ে কথা হয় ইটবালু সিমেন্ট বিক্রেতা মোঃ মাসুম এর সাথে তিনি বলেন, প্রতিবছর তো ইটের দাম বাড়তী থাকে। মূলতঃ ইটভাটার মালিকদের কতিপয় ব্যবসায়িরা দাদন দিয়ে ইট গুলো বুকিং দিয়ে রাখে। এরা আবার সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া রডের দাম বাড়ার কারণ ডলারের দাম বৃদ্ধি । যখন ডলার এর দাম কম থাকে কাচামাল আমদানি খরচ কম হয়। আর যখন ডলারের দাম বেশি থাকে তখন কাচামাল আমদানি খরচ বৃদ্ধি পায়। সব মিলে বলা চলে ডলার নির্ভর উপর রডের দাম উঠা-নামা করে। এছাড়া সিমেন্ট, সহ অন্যান খরচ বেড়েছে জ¦ালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে। আমরা সামান্য খুচরা ব্যবসায় সীমিত লাভ করি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button