স্থানীয় সংবাদ

লবনচরায় সৈকত নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম : থানায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ লবনচরা জিন্নাহপাড়া হযরত আলী মসজিদ রোড এলাকায় মাহমুদ হোসেন সৈকত(১৭) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখমের ঘটনা ঘটেছে। আহত সৈকত লবণচরা জিন্নাহপাড়া হযরত আলী মসজিদ রোড এলাকার বাসিন্দা মোঃ মোশারেফ হোসেনের ছেলে। এঘটনায় গত ২১ জুন ভিকটিমের পিতা ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে লবনচরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং-১৩ । এই মামলার আসামীরা হলেন, দক্ষিণ মোল্লাপাড়া বাঙ্গাল গলির শিমুল মোল্লা (১৯) ও মোঃ বাপ্পি মোল্লা (২৪), মোক্তা কমিশনার কালভার্ট এলাকার মোঃ সিয়াম (১৯) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ভিকটিম সৈকত তার পিতার সাথে ইজিবাইকে কাজ করে গত ২০ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আসামী শিমুল সৈকতের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চাইলে সেটি না দেওয়ায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পরে দেখে নেবো বলে হুমকী দিয়ে চলে যায়। ওই দিনই রাত অনুমান ১০টায় জিন্নাহপাড়া হযরত আলী মসজিদ গলির মাথায় খালপাড় সংলগ্ন দোকানে মশার কয়েল আনার জন্য যায় সৈকত। সেখান থেকে মশার কয়েল নিয়ে ফিরে আসার সময় রাত সাড়ে ১০টায় জিন্নাহপাড়া হযরত আলী মসজিদ রোড ২য় লেন সোহেলের বাড়ীর সামনে পৌছালেই আসামীরা তাকে গতিরোধ করে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে আসামী শিমুল তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে সৈকতকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দিলে সেটি ডান চোখের উপরে লেগে কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। পরে বাপ্পি গুপ্তি দিয়ে সৈকতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ী খোঁচা দিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। ৩নং আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ী মারধর করে নীলাফোলা জখম করে। এরপর পকেটে থাকা ইনফিনিক্স টাচ মোবাইল ফোন (যার মূল্য ১৩ হাজার টাকা) ও নগদ দুই হাজার ৭শ টাকা বের করে নেয়। সৈকতের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই সময় তাকে আবারও দেখে নেবে, প্রাণে মেরে ফেলবে বলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসামীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এ বিষয়ে লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক বলেন, আসামীদের আটক করতে অভিযান পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে একজন আটক হয়েছে। কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম কমাতে আরও কঠোর অবস্থানে আছি। দ্রুত আসামীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button