বিয়ের প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
যশোর ব্যুরো ঃ বিদেশ ফেরত নারী মোছাঃ কাকলী খাতুনকে দূও সম্পর্কেও আত্মীয় এক লম্পট কৌশলে সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নগদ ২ লাখ টাকা ও নিয়মিত স্ত্রীর মতো মেলামেশা করলেও বিয়ে না করায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ২৭ জুন রাতে মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের মকবুল মোড়লের মেয়ে মোছাঃ কাকলী খাতুন। মামলায় আসামী করেন, যশোর শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়া নবীনুর রহমান ইঞ্জিনিয়ার এর বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহাদৎ শেখ এর ছেলে রাসেল শেখ।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তিনি বিগত ২০২১ সাল হতে ২২ সালে পর্যন্ত বিদেশ অর্থাৎ কাতারে থেকে সেখান থেকে ১বছর যাবত, আয় রোজগার কওে টাকা পয়সা নিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরেন। রাসেল শেখ বাদির দূরসম্পর্কের আত্মীয়। সেই সুবাদে বাদির সাথে পূর্ব পরিচয় ও নিয়মিত বাদির খোঁজ খবর নিতেন। এক পর্যায়ে রাসেল শেখ এর বাদির টাকা পয়সা ও দেহের প্রতি কুনজন পড়েন। বাদির সংস্পর্শে এসে সখ্যতা তোলে যুবক। উক্ত যুবত বিগত ৬ মাস যাবত মিথ্যা ও প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে বাদিকে বিয়ে করবে বলে বাদির নিকট হতে বিভিন্ন সময় নগদ ২লাখ টাকা গ্রহন করে এবং বাদির সাথে নিয়মিত দৈহিক মিলন করে আসছে। বাদিকে বিয়ে না করে লম্পট যুবক স্বামী স্ত্রীর মতো এক সাথে বসবাস করতে থাকে। বাদি বারবার বিয়ের কথা বললে লম্পট আজ না কাল বলে ঘুরাতে থাকে। সর্বশেষ গত ২৪ মে বিকেল ৫ টায় আসামী রাসেল শেখ বাদির পিতার বাড়িতে আসে এবংবাদিকে পিতার নির্জন কক্ষে নিয়ে ধর্ষন করে। সন্ধ্যা ৭ টার সময় স্থানীয় লোকজন বাদির সামনে আসামীকে বিয়ে কথা বলে বাদি অনুরোধ করলে লম্পট যুবক সাফ জানিয়ে দেয় বাদিকে সে আর বিয়ে করতে পারবেনা। বাদির নিকট হতে নেওয়া টাকা পয়সা ফেরত দিবে না। তাছাড়া আরো বলে বিষয়টি নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করলে জীবনে শেষ করে ফেলবে। বাদি থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নিয়ে বাদিকে ফিরিয়ে দেয়। বাদি উপায়ূন্তর না পেয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা হিসেবে রেকর্ডন করেন।