স্থানীয় সংবাদ

যশোরে অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

যশোর ব্যুরো
সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামে অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১৭) কে জোর পূর্বক ধর্ষন করার পর তার পরিবারকে উত্যক্ত করার অভিযোগে আব্দুল কাদের (৩১) নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মৃত দুদ বড়–র ছেলে ও বিশেষ বাহিনীর সদস্য । এ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে মঙ্গলবার ২ জুলাই দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তার মেয়ে বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা গ্রামের আলী মাদ্রাসার একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। গত ২৮ মে সন্ধ্যা সোয়া ৭ টার পর তার মেয়ে তার মায়ের সাথে রাগারাগি করে পায়ে হেটে বাড়ি থেকে বের হয়ে সদর উপজেলার লেবুলতলা গ্রামের মাদ্রাসা ছাত্রীর ভাইয়ের শ^শুর আলাউদ্দিন মোল্লার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে। ওই রাত রাত অনুমান সাড়ে ৮ টার সময় লেবুতলা বাজারে পৌছালে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। বাদির মেয়ে বৃষ্টির মধ্যে পায়ে হেঁটে লেবুতলা বাজার থেকে একটু সামনে গিয়ে বৃষ্টি থেকে বাঁচতে একটি বন্ধ দোকানের নীচে গিয়ে দাঁড়ায়। তখন উক্ত আব্দুল কাদের মোটর সাইকেল করে মাদ্রাসার ছাত্রীর সামনে এসে দাঁড়ায়। মাদ্রাসা ছাত্রীকে একা পেয়ে দাঁড়ানোর কারন জিজ্ঞাসা করে। মাদ্রাসা ছাত্রী উক্ত যুবককে জানায় যে তার মায়ের সাথে রাগারাগি করে তার ভাবী বাড়ি লেবুতলা গ্রামের গোলাম রসুলের মোড়ে যাবে। উক্ত যুবক জানায় সেও লেবুতলা গোলাম রসুলের মোড়ে যাবে। এই বলে বাদির স্ত্রীর মোবাইল নাম্বার মেয়ের কাছ থেকে নেয়। বাদির মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে তার মোটর সাইকেলে উঠায়। মাদ্রাসা ছাত্রীকে নিয়ে বাদির বিয়াইয়ের বাড়ির রাস্তায় না যেয়ে তৈলকুপ গামী রাস্তায় গেলে রাত পৌনে ৯ টার সময় মাদ্রাসা ছাত্রী চলন্ত মোটর সাইকেল থেকে বাঁচার জন্য লাফ দেয়। দৌড়ে পালানোর চেস্টা করলে তাকে ঝাপটে ধরে রাত অনুুমান ৯ টার সময় লেবুতলা গ্রামস্থ জনৈক হারুন মোল্লার বাড়ির অনুমান ২শ’ মিটার উত্তরে বিদ্যুতের খুঁটির পশ্চিম পাশে মাঠের মধ্যে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। মাদ্রাসা ছাত্রী তার কাছে প্রাণ ভিক্ষা চায়। কান্নাকাটি করে মাদ্রাসা ছাত্রী আব্দুল কাদেরকে তার ভাইয়ের শ^শুর বাড়ি পৌছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে পুনরায় মোটর সাইকেলে তুলে লেবুতলা গোলাম রসুলের মোড়ে নিয়ে নামিয়ে দেয়। আব্দুল কাদের মাদ্রাসা ছাত্রীকে অনেক আজেবাজে কথাবার্তা বলে। ভাইয়ের শ^শুর বাড়ি উক্ত মাদ্রাসা ছাত্রী যাওয়ার পর তার পিতাকে বিষয়টি খুলে বলে। বিষয়টি জানার পর মান সম্মানের ভয়ে বাদি ঘটনা চেপে যায়। আব্দুল কাদের বাদির স্ত্রীর মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বিরক্ত শুরু করে। সে ফোন করে বাদির স্ত্রীকে তার মেয়ের কাছে ফোন দিতে বলে। ওই সময় যুবকের কাছে তার নাম ঠিকানা জানতে চাইলে সে তার নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। উক্ত যুবক ২ জুলাই মঙ্গলবার বার সন্ধ্যা ৬ টার সময় খাজুরা বাজারে আব্দুল কাদের এসে বাদিকে ফোন করে ডাকে। বাদি খাজুরা বাজারে আসার পর বাদির মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষন করার হুমকী দিলে বাদি খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পে অবগত করেন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আসামীকে খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। বাদি কোতয়ালি থানায় ফোন দিলে থানা পুলিশ এসে আসামীকে হেফাজতে নেয়। পরে বাদি আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে তাকে আদালতে সোর্পদ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button