স্থানীয় সংবাদ

গণহত্যা জাদুঘরকে সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী

খবর বিজ্ঞপ্তিঃ গতকাল বিকাল ৩টায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি খুলনার সাউথ সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ এর নবনির্মিত ভবনে জাদুঘরের প্রদর্শনী কক্ষ এবং ভবনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন। জাদুঘরের ভবন পর্যবেক্ষণ করে এর কার্যক্রম নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর হিসেবে ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের নেতৃত্বে ২০১৪ সালের ১৭ মে খুলনা শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই জাদুঘরকে জমি এবং বাড়ি উপহার দেন। সেটি সংস্কার করে খুলনার ২৬ সাউথ সেন্ট্রাল রোডের নিজস্ব ভবনে গণহত্যা জাদুঘর নতুন করে যাত্রা শুরু করে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ। জাদুঘর ভবনটির জীর্ণতা ও ভগ্নদশা এবং প্রদর্শনের জন্যে স্থানের অপ্রতুলতার দরুন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্থাপত্য অধিদপ্তর কর্তৃক নকশা প্রণয়নপূর্বক নতুন ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং ৩৩.৫৯০ বর্গমিটার ৬ষ্ঠ তলা বিশিষ্ট জাদুঘর ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জাদুঘর নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করেন গণপূর্ত অধিদপ্তর। মন্ত্রী জাদুঘরের বিভিন্ন গ্যালারি ঘুরে দেখেন। জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষে তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের দলিল, মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার বিভিন্ন স্মৃতিবিজড়িত নিদর্শন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত মাইক [বুলেটা, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ লিখিত ঐতিহাসিক চিরকুট, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের নিদর্শন, একাত্তরের ঘাতক ও পাকিস্তানি দোসরদের নানা দলিলপত্র ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। গণহত্যার বিভিন্ন ছবি দেখে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। মন্ত্রী বলেন, গণহত্যা জাদুঘর বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অনন্য সংগ্রহশালাতে পরিণত হয়েছে। গণহত্যার যে ইতিহাস লোকে ভুলে যেতে বসেছিল, সেই ইতিহাস নতুন ভাবে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে নিয়ে এসেছে গণহত্যা জাদুঘর। আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার নির্ভুল ইতিহাস পৌঁছে দেওয়াটা নিশ্চিত হলো এবার। যারা গণহত্যা চালিয়েছিল এবং যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল, তাদের কার্যক্রমও নতুন প্রজন্ম মনে রাখতে পারবে। স্বাধীনতা বিরোধীরা যদি রাজনৈতিক শক্তিশালী হয়ে উঠতে চায়, তাহলে নতুন প্রজন্মই তাদের প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে। কেননা তারা সে ইতিহাস জানে। গণহত্যা জাদুঘর গড়ে তোলার জন্য তিনি জাদুঘরের সভাপতি ড. মুনতাসীর মামুনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন এই জাদুঘরের আধুনিক ভবন নির্মানের সাথে গৃহায়ন ও গণপূত মন্ত্রণালয় প্রথম থেকেই জড়িত ছিল এবং আগামীতেও জাদুঘরের সার্বিক উন্নয়নে তার মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে। জাদুঘর পরিদর্শনকালে মাননীয় মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি সম্পাদক অধ্যাপক চৌধুরী শহীদ কাদের।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button