সাতক্ষীরায় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী আনারুল ইসলাম’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব- ৬। গ্রেফতারকৃত আশাশুনি দূর্গাপুর এলাকার আনারুল মৃত করিম বক্সের ছেলে। র্যাব সূত্র জানায়, আশাশুনি দূর্গাপুর এলাকার মৃত নিরাপদ দাসের মেয়ে ভিকটিম কে তার প্রথম স্বামী মৃত্যু বরণ করার পর থেকে মামলার প্রধান আসামী আনারুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে ফুসলাইয়া ধর্মান্তর করে বিবাহ করে। বিবাহের পর যৌতুকের দাবিকরে মারপিঠ করিলে ভিকটিম একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন, এজাহারভুক্ত ২নং আসামী তাদের বিরোধ নিস্পত্তি করে দিবে বলে আশ্বাস দেয়। একপর্যায়ে ভিকটিম আশ্বস্ত হয়ে ২নং আসামীর কথায় রাজি হয়। ২নং আসামী গত ১৫ মে বিকাল ৪টা৩৫ মিনিটে ভিকটিমকে বলে সাতক্ষীরা পৌর কমিশনারের অফিসে আপোশ মিমাংশার জন্য রাত ৮টায় বসবে এবং তার স্বামীও উক্ত সময় আসবে বলে ২নং আসামী তার তার নিজ বাড়িতে কালক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে একই তারিখ রাত্র অনুমান ৯টায় ১নং আসামী একটি ইজি বাইকসহ ২নং আসামীর বাড়িতে এসে ভিকটিম ও ২নং আসামীকে নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে কমিশনার আসতেছে মর্মে ভিকটিমকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় সময় ক্ষেপন করিতে থাকার একপর্যায়ে একই তারিখ রাত্র অনুমান ১টা ৩৫ মিনিটে সাতক্ষীরা পৌরসভাস্থ ষ্টেডিয়াম ব্রীজ পার করে রেজিস্ট্রি অফিস রোডে গাড়ী থামাইয়া আসামীদ্বয় ভিকটিমকে চেতনানাশক কিছু শুকাইয়া ভিকটিমকে অজ্ঞান করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিম এর জ্ঞান ফিরলে গত ২৩ মে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী তার অপকর্ম থেকে বাঁচার জন্য নিজেকে আত্মগোপন করে। মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকেই প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। র্যাব-৬, সিপিসি-১, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল উক্ত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ জুলাই র্যাব- ৬, সিপিসি-১, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, পলাতক আসামী আনারুল ইসলাম খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানাধীন চুকনগর বাজার এলাকায় অবস্থান করতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিধি মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।