খুলনায় যাবজ্জীন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার
ক্লিনিক থেকে শিশু নিয়ে পালানোর চেষ্টা : খুলনা সদর থানায় ডিসি সাউথের প্রেসব্রিফিং
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা সদর থানার মানব পাচার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছাঃ শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নগরীর বাইতিপাড়াস্থ “মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থা মেটার্নিটি” ক্লিনিকে শিশু নিয়ে পালানোর চেষ্টা মামলার রায়ে তাকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। সাজা হওয়ার পর সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। গতকাল বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খুলনা সদর থানা প্রাঙ্গণে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, ২০২০ সালের ১১ মে সকাল সাড়ে ১১টা টার দিকে নগরীর বাইতিপাড়াস্থ “মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থা মেটার্নিটি” ক্লিনিকে বাদী মো: আশিক শেখের স্ত্রী মোছাঃ আশা খাতুন একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করে। পরবর্তীতে বাদীর স্ত্রী অজ্ঞান থাকা অবস্থায় নবজাতক শিশুটি বাদীর শাশুড়ী মোছাঃ লাভলী খাতুনের নিকট ছিল। এ দিন বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে বিকাল সাড়ে ৬টার মধ্যবর্তী সময়ে আসামী মোছাঃ শারমিন আক্তার বাদীর শ্বাশুড়ীকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে সু-কৌশলে নবজাতক শিশুটিকে “মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থা মেটার্নিটি” ক্লিনিক থেকে অপহরণ করে। এ সময় তিনি রিক্সাযোগে রওনা করলে রিক্সাচালক মোঃ হুমায়ুন কবিরের সন্দেহ হয়, তিনি স্যার ইকবাল রোডস্থ খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে আশপাশের লোকজনদেরকে ডাক চিৎকার দেয়। এসময় আশপাশের লোকজন এসে আসামী মোছাঃ শারমিন আক্তারকে নবজাতক শিশুসহ আটক করে। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১২ মে খুলনা থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আসামী পলাতক ছিল এবং পলাতক আসামী মোছাঃ শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা খুলনা সদর থানায় ইস্যু হয়। বুধবার খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম বাগেরহাট জেলার রামপাল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাত সোয়া ২টার দিকে গৌরাম্ভা এলাকার নিজ বাসা থেকে যাবজ্জীবন কারাদ- সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছাঃ শারমিন আক্তারকে নারী পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়।
মিডিয়া বিফ্রিংয়ে কেএমপি’র খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন খাঁন এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিমাই কুমার কুন্ড উপস্থিত ছিলেন।