ভারীবর্ষণে কুয়েট, টিটি কলেজসহ রাস্তা-ঘাট বাসতবাড়ী একাকার : জনদুর্ভোগ চরমে
# বিলডাকাতিয়ার একমাত্র খালটি ভরাট, মৎস্য ঘের এবং অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা জলাবদ্ধতার কারণ
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি ঃ মাত্র কয়েক ঘন্টার ভারীবর্ষণে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়( কুয়েট), খুলনা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, খুলনা এইচএসটিটিআই, শেখ হাসিনা আইসিটি ভবন, খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গভ.ল্যাবরেটরি হাই স্কুলসহ পার্শবর্তি এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে বসতবাড়ীতে পানি ঢুকে পড়ছে। রাস্তাঘাট ছাপিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, বসতবাড়ীতে পানি ঢুকে পড়ায় এই অঞ্চলের মানুষ সিমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে। এক সময়ে ফুলবাড়ীগেট, যোগিপোল, যাব্দিপুর, খানাবাড়ী, তেলিগাতী, মহেশ্বরপাশাসহ পার্শবর্তি এলাকা গুলোর পানি বিলডাকাতিয়ার নিচু হাওড়ে বা ডোবায় চলে যেতো। সময়ের প্রয়োজনে বিলডাকাতিয়ার বৃহত্তর এই ডোবা বালু ভরাট করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায়, স্থায়ী বসত বাড়ী নির্মাণ করায়, অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘেরের ভেড়ীবাধ দেওয়া, একমাত্র পানি নিষ্কাশনের খালটি দখল হয়ে সরু হয়ে যাওয়া এবং এর সাথে যুক্ত হয়েছে কুয়েট এ্যাপ্রোচ সড়ক উন্নয়নে অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ কাজ যার ফলে এই অঞ্চল জলাবদ্ধতার কবলে পড়ছে এমনটাই দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসীর।
গত ১১ জুলাই রাতের কয়েক ঘন্টার ভারী বৃষ্টিপাতে নগরীর আড়ংঘাটা থানাধিন তেলিগাতী, ল্যাাবরেটরি মোড়, পুরাতন টিটিসি রোড, খানাবাড়ী, মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিকপাড়া, কান্দর, বুচিতলা, রাজ্জাকের মোড়, মহেশ্বরপাশা পালপাড়া, জিকোর মোড়, ঢালীপাড়া এলাকার ড্রেন, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে বসতবাড়ীতে ময়লা পানি ঢুকে পড়েছে। পানিবদ্ধি হয়ে পড়েছে কুয়েট রোকেয়া হল, কেন্দ্রীয় মসজিদ, লালন শাহ হল, কুয়েট কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, এইচএসটিটিআই, শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, শেখ হাসিনা আইসিটি ভবন, গভ.ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ীতে ময়লা দূর্গন্ধ পানি প্রবেশ করায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে ভুক্তোভোগী মানুষ গুলো। পানি নিষ্কাশন এবং পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিষ্ঠান গুলো বার বার দীর্ঘস্থায়ী জলাবন্ধতার কবলে পড়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে লিখিত ভাবে অবহিত করেও কোন সমাধান না হওয়ায় ভারীবর্ষণ হলেই এ সকল প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষা কার্যাক্রম চরম ভাবে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে একই সাথে এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ সিমাহীণ দূর্ভোগে পড়ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জি.এম এনামুল কবির ও এলাকাবাসী বলছে, ফুলবাড়ীগেট, যোগিপোল, যাব্দিপুর, খানাবাড়ী, তেলিগাতী, মহেশ্বরপাশাসহ পার্শবর্তি এলাকা গুলোর পানি বিলডাকাতিয়ার নিচু হাওড়ে বা ডোবায় চলে যেতো। বর্তমানে বিলডাকাতিয়ায় বালু ভরাট করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ করায়, ডোবা ভরাট করে বসবাসের জন্য স্থায়ী বাড়ী নির্মাণ করায়, অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘেরের ভেড়ীবাধ দেওয়া, একমাত্র পানি নিষ্কাশনের খালটি দখল হয়ে সরু হয়ে যাওয়া এবং কুয়েট এ্যাপ্রোচ সড়ক উন্নয়নে অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ কাজের ফলে এই অঞ্চল জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে। তিনি বলেন এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সমাধান পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জলাবদ্ধ নিরসরে খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।