খুনের রহস্য নিয়ে উৎকন্ঠায় কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ
# চেয়ারম্যান রবি হত্যাকা-ের ১ সপ্তাহ অতিবাহিত #
# পুলিশের দাবি দ্রুতই উন্মোচিত হবে মোটিভ #
সুজিত মল্লিক, ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ ডুমুরিয়ায় জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ বরিউল ইসলাম রবি’র হত্যাকান্ড ১সপ্তাহ অতিবাহিত। এখনো উন্মোচিত হয়নি খুনের রহস্য। ফলে এক ধরনের উৎকন্ঠা আর হতাশায় ভুগছে নিহতের কর্মী-সমার্থকসহ সাধারণ মানুষ। তবে পুলিশের দাবি, খুব শিঘ্রই উন্মোচিত হবে খুনের মোটিভ।
জানা গেছে, ৬জুলাই শনিবার রাতে শরাফপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবি আততীয়দের গুলিতে মারা যান। তিনি ওই দিন বিকেলে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় অংশ নেন। রাতে মোটর-সাইকেল যোগে খুলনার নিরালাস্থ বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে গুটুদিয়া ওয়াপদার মাথা নামক স্থানে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাকে পেছন থেকে গুলি করে মেরে ফেলে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী শায়লা ইরিন বাদী হয়ে গত ৭জুলাই রাতে একটি মামলা করেন। যার নং-০৪, এবং মামলায় ৭জনের নাম উল্লেখসহ আসামী করা হয় অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার ও তাদের ৫দিনের রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এদিকে জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় সমগ্র উপজেলা জুড়েই উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। এরই মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের আয়োজনে উপজেলা বাসষ্ট্রান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ। এছাড়া তাদের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ৩দিন ব্যাপি কর্ম-বিরতির কর্মসুচী। এমনি করে উপজেলার শাহপুর, চুকনগর, শরাফপুর ও উলাসহ বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত আছে বিক্ষোভ ও সমাবেশ। সভা সমাবেশে বক্তারা চেয়ারম্যান রবি’র খুনীদের গ্রেফতারসহ বিচার ও ফাঁসি’র দাবি জানান। এরই মধ্যে ১সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে ওই খুনের ঘটনা। তবে এখানো পর্যন্ত উন্মোচিত হয়নি রহস্য। এদিকে মামলার ১দিন পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে আজগর বিশ্বাস তারা ও সাইফুল সরদার বাবু নামের দু’জনকে আটক করে এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ডে রেখেছে পুলিশ। তবে জনমুখে আটকের তালিকায় আরও নাম শোনা গেলেও পুলিশ ওই ব্যাপারে কিছুই বলেনি। এদিকে দিন যতই গড়াচ্ছে ততই উদ্বেগ আর হতাশায় ভুগছে তার কর্মী-সমার্থকসহ সাধারণ মানুষ। প্রকৃত খুনী কারা, কেন এবং কি কারণে খুনের শিকার হলেন চেয়ারম্যান রবি। এমনি করে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তাদের মনে। তবে এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত সাহা জানান, চেয়ারম্যান রবি’র হত্যাকান্ড নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সকল টীম মাঠে কাজ করছে। যা কিছু করা হচ্ছে সবই সতর্কতার সাথে। এখনি জানাজানি হলে অনেক লস হয়ে যাবে। ফলে মামলা ও আসামীদের গ্রেফতারের স্বার্থে মুখ খোলা ঠিক হবে না। তবে আমরা আশাবাদী অতি দ্রুত এই মামলার মোটিভ উন্মোচিত করা সম্ভব হবে।