খুলনায় ট্যাংকলরী শ্রমিকদের ধর্মঘট ও সকাল সন্ধ্যা কর্মবিরতি
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের ২ জন সদস্য সড়ক দুর্ঘটনার মিথ্যা মামলা নিষ্পত্তি ও সড়কে পুলিশী হয়রানি বন্ধের দাবীতে ট্যাংকলরী চলাচলে ধর্মঘট ডেকে কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকরা। শ্রমিকদের ডাকা এ ধর্মঘট কর্মসুচি সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলে। কর্মসুচি চলাকালে সকাল থেকে খুলনার খালিশপুরের তিনটি তেল ডিপো পদ্মা-মেঘনা-যমুনা থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ করে সড়কের ট্যাংকলরী পার্কিং করেখে প্রতিবাদ জানায়। সকালা সাড়ে ১০ টায় কাশিপুর মোড়ে শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে শ্রমিক নেতারা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ এনাম মুন্সি। বক্তৃতা করেন সাধারন সম্পাদক আলী আজিম, অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, পদ্মা,মেঘনা,যমুনা সমিতির সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তি যোদ্ধা আবুল কালাম কালু। লাইন সম্পাদক মোঃ এমদাদুল হক, সহ-লাইন সম্পাদক নুর খালিদ রাস্তি, শেখ সোলায়মান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফিরোজ হাওলাদার, প্রচার সম্পাদক জুয়েল হাওলাদার, নির্বাহী সদস্য লাভলু হোসেন, সবুজ শেখ, মনসুর ব্যাপারী প্রমুখ। এ সময় নের্তৃবৃন্দ মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত আঃ রহিম ব্যাপারি ও আবু সাঈদের মামলার শুনানী হবে ১৬ জুলাই। শুনানির দিনে মামলার নিষ্পত্তির দাবি জানান শ্রমিক নেতারা। এ ছাড়া মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা থাকার পারেও সড়কে ট্যাংকলরী থামিয়ে চালকদের হয়রানি বন্ধ করছেনা পুলিশ। এ সময় শ্রমিক নেতারা সড়কে চালক ও ট্যাংকলী চলাচলে হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট ও কর্মরিত থেকে প্রশাসনের প্রতি হয়রানি বন্ধ এবং মামলা নিস্পত্তি না হলে আগামী ১৭ জুলাই থেকে থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করবেন বলে নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল আড়ংঘাটা থানার শহীদের মোড় এলাকায় একটি মোটরসাইকেলের হেলমেট বিহিন তিনজন পুলিশ যাচ্ছিল। ওই সময় পুলিশ দূর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হয়। শুধুমাত্র রুপসা ব্রিজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য আবদুর রহিম ও সাইদকে আটক করে তাদের নামে সড়ক দুর্ঘটনার মিথ্যা মামলা রুজু করে। দির্ঘদিন তারা জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। এ বিষয়ে খুলনার তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মামলা নিস্পত্তির প্রতিশ্রতি দিলেও মামলা নিস্পত্তি করেন নি।