স্থানীয় সংবাদ

কারফিউ শিথিলে ব্যস্ত নগরী

সড়কে চলেছে যানবাহন, খুলেছে দোকানপাট, হোটেল রেঁস্তোরা
দৌলতপুরে সন্ধ্যার পর পুলিশি কার্যক্রম ছিলো চোখে পড়ার মত

মো: আশিকুর রহমান : কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিএনপি, জামায়াত শিবিরসহ দুর্বৃত্তরা, নাশকতা, অগ্নি সন্ত্রাস, ভাংচুর, হামলা অব্যাহত রেখেছিলো। যার কারনে দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে শক্তি ফেরাতে সরকার কারফিউ জারি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেনাবাহিনি মোতায়েন করা হয়। কারফিউ জারিতে সারা দেশের মত নগরীর খুলনার সড়ক, মহাসড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কেবলমাত্র কারফিউর আওতামুক্ত যানবাহন চলাচল করে নগরীর সড়কগুলোতে। একই সাথে নগরীর বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, হোটেল রেস্তোরা, দোকানপাট, মার্কেটগুলো বন্ধ থাকে। কারফিউ জারির কারনে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি। নগরীর আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছে। নগরীরর মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন কার হয়েছে। একই সাথে শহরের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং নাশকতা প্রতিহত করতে শহরের ভিতরে সেনাসদস্য, বিজিবি ও আনসার টহলের পাশাপাশি পুলিশ টহলও অব্যাহত রয়েছে।
সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিলের নির্ধারিত সময়ের কারনে ব্যস্ত হয়ে ওঠে গোটা নগরী। নগরীর জনমনে যেনা স্বস্তি নামে। এসময়ের মধ্যে নগরীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেল রেস্তোরা, দোকানপাট, মার্কেটসমূহ খুলে কেনা বেচা করে ব্যবসায়ীরা। একই সাথে নগরী সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করে। সকাল ৮টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল রাখার কারনে ডাকবাংলা, সোনাডাঙ্গা, গল্লামারি, ময়লাপোতা, রূপসা, খালিশপুর, বৈকালী, বয়রা, নতুনরাস্তা, দৌলতপুর, রেলিগেট, মানিকতলা, ফুলবাড়িগেট, শিরমণি, ফুলতলা এলাকায় স্বাভাবিক দিনের মত যানবাহন চলাচলে ব্যস্ত ছিলো সড়কগুলো। সড়কে বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাহেন্দ্রা, সিএনজি, ইজিবাইক, রিকশা ভ্যানসহ নানা যানবাহন চলতে দেখা গেছে। একই সাথে ওই এলাকার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, মার্কেটসমূহ খোলা ছিলো। তবে শিথিলের সর্বশেষ সময় ৬টার পর থেকে কারফিউ বহাল থাকার কারনে ব্যপক পুলিশি তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। এসময় পুলিশ টহল দিয়ে দোকান পাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ব্যবসায়ী পলাশ জানান, দেশের সংকটময় মহুর্তের কারনে সরকার কারফিউ জারি করেছে। এ কারনে হোটেল বন্ধ রেখেছিলাম। গতকাল সকাল ৮টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল রাখার কারনে টুকটাক কেনা বেচা করেছি। সন্ধ্যা ৬টার পর পুলিশ এসে হোটেল বন্ধ করে দেয়।
মাহেন্দ্র চালক সবুর জানান, কারফিউ জারির কারনে সড়কে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ভয়ে রাস্তায় গাড়ি বের করি নাই। কিন্তু গতকাল আবার কারফিউ শিথিল রাখার কারনে মাহিন্দ্রা নিয়ে রাস্তায় বের হয়। কয়েকদিন বাসায় বসেছিলোম। কারফিউ শিথিলে কারনে রাস্তায় যাত্রী বেশ ভালোই ছিলো। ১২শ টাকা আয় করেছি।
রিকশা গ্যারেজ মালিক আবু জার জানান, কারফিউ জারির কারনে কয়েকদিন গ্যারেজ বন্ধ ছিলো। ড্রাইভারেরা ভয়ে রিকশা নিয়ে রাস্তায় নামেনি। এজন্য গ্যারেজ থেকে কোন ভাড়া পাইনি। গতকাল কারফিউ শিথিল রাখার কারনে ড্রাইভাররা রিকশা নিয়ে রাস্তায় নামে। এমনকি সাধারন মানুষসহ নি¤œ আয়ের মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছে।
দৌলতপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, কারফিউ জারির নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করছি। দৌলতপুরের গুরুত্বপূর্নস্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। টহল অব্য্যাহত রয়েছে। গতকাল(২৪ জুলাই) সরকারী সিদ্ধান্তে সকাল ৮টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিলো। ৬টার পর আমরা মাইকিং করে এবং টহল অব্যাহত রেখে থানা এলাকার সকল দোকানপাট বন্ধ করে দিই। সাধারন মানুষকে রাস্তায় বের হতে বারন করা হয়। এছাড়া থানা এলাকায় নিয়মিত অভিযান ও টহল অব্যহত রয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button