স্থানীয় সংবাদ

দৌলতপুরের আলোচিত হুমায়ূনের মৃত্যু রহস্য উৎঘাটনের পথে

# কবর থেকে লাশ উত্তোলন ও ময়না তদন্তের আদেশ দিয়েছে আদালত #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীর দৌলতপুর ৪নং ওয়ার্ডসহ দেয়ানা উত্তরপাড়া এলাকার আলোচিত ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবিরের মৃত্যুর রহস্য উম্মেচন হতে যাচ্ছে। আসামীর ভাষ্যমতে, হত্যার শিকার হুমায়ুন কবিরের ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দিয়েছে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। গত, ১৫ জুলাই নারী ও শিশু আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তী মূলক জবানবন্দী প্রদান করে মৃত হুমায়ুনের ছোট মেয়ে সুমাইয়া বিনতে কবির। দীর্ঘ সময়ের স্বীকারোক্তীতে তিনি পানির ও খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে, অতঃপর বালিশ চাপার দিয়ে বাবাকে হত্যার দায় আদালতে স্বীকার করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার সাব- ইন্সপেক্টর বদিউর রহমান জানান, গত ১৫ জুলাই আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তী মূলক জবানবন্দী প্রদান করে মৃত হুমায়ুনের ছোট মেয়ে সুমাইয়া বিনতে কবির। দীর্ঘ সময়ের স্বীকারোক্তীতে তিনি পানি ও খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে, অতঃপর বালিশ চাপার দিয়ে বাবাকে হত্যার দায় আদালতে স্বীকার করেন। পরবর্তীতে মৃত হুমায়ূনের মৃত্যু সঠিক কারণ উঘাটনে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করি। কিন্তু দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে, যার দরুন সরকার সমগ্র দেশজুড়ে কারফিউ জারি করে। কারফিউ জারি থাকার কারণে সকল অফিস আদালত বন্ধ ছিলো। বুধবার ( ২৪ জুলাই) আদালতের বিচারীক কাযক্রম শুরু হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুপুরে মৃত হুমায়ুনের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য আদেশ প্রদান করেন। আদেশের কপি জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনোনিত করবেন। অতঃপর তিনি নিদিষ্ট তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন এবং লাশ উত্তোলনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। দ্রুত সময়ের মধ্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করা হবে। মৃত হুমায়ুনের বড় মেয়ে মরিয়ম জানান, আমার বাবার লাশের ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের জন্য ইতোপূর্বে আদালতের কাছের আবেদন করা হয়েছিল। দেশে কারফিউ জারি থাকার কারনে আদেশ পেতে একটু বিলম্ব হয়েছে। তবে আশা করছি আগামি ৪/৫ দিনের মধ্যে লাশ উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হবে। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, পিতাকে পানি ও খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে ও বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করার কারনে মৃত হুমায়ুনের স্ত্রী ফারজানা আফরিন (৪১) বাদি হয়ে ছোট মেয়েসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামী আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তী মূলক জবানবন্দীতে বাবাকে হত্যার দায় আদালতে স্বীকার করে। পরবর্তীতে মৃত হুমায়ূনের মৃত্যু সঠিক কারণ উঘাটনে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। বুধবার ( ২৪ জুলাই) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুপুরে মৃত হুমায়ুনের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য আদেশ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, আসামীর ভাষ্যমতে গত ৪জুলাই দৌলতপুরস্থ দেয়ানা উত্তরপাড়া এলাকায় ছোট মেয়ে সুমাইয়া বিনতে কবির পানি ও খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে ও বালিশ চাপা দিয়ে পিতা হুমায়ুনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। বহু নাটকীয়তার পর হুমায়ুনের মৃত্যুর ১২ দিন পর তার স্ত্রী ফারজানা আফরিন (৪১) বাদি হয়ে স্বামীকে হত্যার দায়ে ছোট মেয়ে সুমাইয়া বিনতে কবির ও অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button