স্থানীয় সংবাদ

যত্রতত্র ঝুঁকিতে রাস্তা পারাপার চলছেই!

ট্রাফিক নিয়মবর্হিভূত চলাচলে বাড়ছে দূর্ঘটনার শঙ্কা

মোঃ আশিকুর রহমান ঃ ব্যস্ততম নগরী খুলনা। খুলনার সড়ক, মহাসড়ককে দিনজুড়ে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে হালকা, মাঝারীসহ ভারী যানবাহন। এক দিকে অনেকাংশে যানবাহনগুলো ট্রাফিক নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছা-স্বাধীন ছুটে চলছে, অন্যদিকে পথচারীরাও সড়কে অনেকাংশেই ঝুঁকি নিয়ে যত্রতত্র রাস্তা পারাপার করছেন। বিশেষ করে খুলনার সড়ক, মহাসড়কে চলচলারত বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাহেন্দ্রা, সিএনজি, মোটরবাইকের সামনে হুটহাট লাফ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন তারা। ট্রাফিক নিয়মের বর্হিঃভূত এই ঝুঁকিপূর্ন চলাচলে কারণে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দূর্ঘটনার শঙ্কা বেড়েই চলেছে।
খুলনা মহানগর এলাকায় কেসিসি, কেডিএ, খুলনা ওয়াসা, এলজিইডি, সড়ক বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ন দপ্তরগুলো যখন খুলনাকে আধুনিক আর পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিনত করার উদ্দেশ্য বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলাচ্ছে ঠিক সেই মুহুর্তে খুলনার ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশিত ট্রাফিক আইন-কানুনের এই নিয়ম বর্হিঃভূত ঝুঁকিপূর্ন চলাচল আধুনিক খুলনার বসবাসকারী সতেচন নগরবাসীকে ভাবনায় ফেলছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই চলাচলের কারণ হিসাবে নাগরিক নেতারা সিগন্যাল বাতিবিহীন সড়ক আর জ্রেবা ক্রসিং ছাড়া পারাপারের প্রতি বেশি গুরুত্বরোপ করছেন। কেএমপি ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নগরীতে ক্রমশঃই বেড়েই চলেছে যানবাহনের সংখ্যা। বিশেষ করে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের। এই যানবহনের চালকদের ট্রাফিক সিগন্যাল বা নির্দেশনা সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান নেই, তাই হরহামেশাই যত্রতত্র পার্কিং, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা সহ বিবিধ কারণ পথচারীদের চলাচলে অত্যন্ত ঝুঁকির কারণ। দেখা গেছে, নগরীর ব্যস্ততম সড়ক ডাকবাংলা, শিববাড়ী, ফেরীঘাট, নিউমার্কেট, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, হেলাতলা (ক্লে রোড), আহসান আহমেদ রোড, হাজী মুহসীন রোড, ফারাজীপাড়া, সেন্ট্রাল রোড, শামসুদ্দিন আহম্মেদ রোড, রয়েল মোড়, ডালমিল, ময়লাপোতা, সাতরাস্তার মোড়, গল্লামারী, নিরালা, জিরোপয়েন্ট, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর, দৌলতপুর, রেলিগেট, মানিকতলা, ফুলবাড়ীগেট, শিরোমনি, ফুলতলা, রুপসা, খুলনা-যশোর মহাসড়কে দুরন্ত গড়িতে ছুটে চলে ভারী যানবাহনসহ হালকা-মাঝারীর যানবাহন। বিশেষ করে মাহেন্দ্রা, সিএনজি, ইজিবাইকসহ উচ্চগতির মটর সাইকেল। এই সকল গুরুত্বপূর্ন সড়কের অধিকাংশে জ্রেবাক্রসিং না থাকায় চলাচলরত পথচারীরা রাস্তা পারাপারের সময় পড়ছে চরম ঝুকিতে। অনেকেই ঝুঁকি পূর্ন রাস্তাপাড়া পারে হচ্ছেন দূর্ঘটনায় শিকারও। নাগরিক নেতা বলছেন, একটি পরিচ্ছন্ন নগরীর সড়কে যা যা থাকা প্রয়োজন তার অনেক কিছুই ঘাটতি আছে সড়কে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ন সড়ক গুলোতে অনেকাংশই পথচারী চলাচলের জন্য নেই রাস্তাপারা চিহ্ন বা জ্রেবাক্রেসিং, বা ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি। তাই অনেকটাই ঝুকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করছে নগরবাসি। সেই সাথে বেড়ে চলা যানবহন, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, নিয়ন্ত্রণহীন গতি, অদক্ষ গাড়িচালক কর্তৃক যানবহন চলনা আরো বাড়িয়ে তুলছে ঝুঁকি। পথচারী মুনতাসির রহমান জানান, খুলনা শহরের গুরুত্বপূর্ন বেশির ভাগ জায়গায়ই জ্রেবা ক্রসিং না থাকায় ঝুকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করে থাকে অধিকাংশ পথচারীরা। হুটহাট করে দ্রুত গতির যানবাহনের সামনে হতে দৌড় দেয়। এমন নিময়বর্হিভূত চলাচলের কারণে, অসাবধানতা কারনে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। ঝড়ে যেতে পারে একটি তাজা প্রাণও। এ ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত বলে আমি মনে করি। সাবেক কাউন্সিলর এস এম হুমায়ূন কবির জানান, সড়কে চলাচলে ট্রাফিক নিয়ম কানুনের কোনো বালাই নেই। সামনে দ্রুত গতিতে যানবাহন আসছে,তা জানা সত্ত্বেও পথচারীরা হুটহাট করে রাস্তা পারাপার করছে। এমন অসচেতনভাবে চলাচলের কারণে দূর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ছে। মহানগরী সহ খুলনা-যশোর মহাসড়কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট দিয়ে ঝুঁকিপূর্ন ভাবে রাস্তা পারাপার করছে পথচারীদের। যেখানে নির্দিষ্ট জেব্রাক্রসিং বা ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল নাই, এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে আমি মনে করি, একই সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারী বাড়ানো জরুরী। এ ব্যাপারে কেএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছেন, শহরের মধ্যে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, নিয়ন্ত্রণহীন গতি, অদক্ষ গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ট্রাফিক বিভাগের অভিযান ও মামলা অব্যহত আছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button