রোববারের কর্মসূচির সাথে নাগরিক আন্দোলন খুলনা’র একাত্মতা

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ সারাদেশে আন্দোলনরত ছাত্র হত্যার প্রতিবাদ, কারফিউ প্রত্যাহারসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আজকের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেছে নাগরিক আন্দোলন, খুলনা। এসংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় মহল বিশেষের উস্কানির ফলে সারাদেশে আজ অস্থিরতা বিরাজ করছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এমন পরিস্থিতি দেশে সৃষ্টি হয়নি। ফলে এ দাবি মানতে বাধ্য করতে সর্বস্তরের জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়েছে। এ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এপর্যন্ত ৩২ জন শিশু নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারের দাবি করা হয়। গতকাল শনিবার সাতরাস্তার মোড়ে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ছাত্রদের ৯দফা আজ গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এটি জাতীয় দাবি। এদাবি আদায়ের লক্ষে ছাত্র সমাজের কণ্ঠ রোধ করার জন্য মিছিল সমাবেশে হামলাকারী মন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারদের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ, অবিলম্বে আসাবিক হল খুলে দেয়ার দাবি জানানো হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের খুলনা শাখার সমন্বয়কারী ডা. শেখ বাহারুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন নাগরিক নেতা মোঃ আব্দুস সবুর, মোঃ লোকমান হাকিম, অধ্যাপক আহসান হাবিব, এ্যাড. মেহেদী ইনসার, এ্যাড. জাহাঙ্গির আলম সিদ্দিকী, রুহুল আমিন শেখ, সময়ের খবরের চীফ রিপোর্টার মোঃ সোহরাব হোসেন, আমরা খুলনাবাসীর মুখপাত্র মাহাবুবুর রহমান খোকন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিলান্তি সেন, অন্তরা বিশ্বাস ও বিএল কলেজের শিক্ষার্থী জ্যোতি মিস্ত্রী। এর আগে বিএমএ ভবনে একই দাবিতে এক নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডা. বাহারুল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় বলা হয় এদাবি আদায়ের লক্ষে খুলনা সর্বস্তরের নাগরিকদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আমরা দাবি করত আর কোন মায়ের বুক খালি না করে অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। শিক্ষাগণের সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরে আসুক।