ব্লাক মেইলিং ও মিথ্যা মামলায় পারদর্শী বেপরোয়া এক মানজুম

# মোটা অংকের টাকা কাটিংসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে
# কেএমপি কমিশনারের নিকট ভুক্তভোগীদের দুটি লিখিত অভিযোগ #
# ব্লাকমেইলিং এ বাদ যায়নি পুলিশ কর্মকর্তা #
স্টাফ রিপোর্টার : লবনচরা স্লুইচ গেট আল-আমিন সড়ক এলাকায় মানজুম আক্তার(৪০) নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন অনৈতিক কাজের দৃশ্য মোবাইলে ধারন করে ব্লাকমেইলিং করে মোটা অংকের টাকা কাটিং করাসহ মিথ্যা মামলা, বিভিন্ন থানায় জিডি, অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর লবনচরা দুই স্লুইচ গেট আল আমিন সড়ক এলাকার ভুক্তভোগী রুবায়েত ও গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট মোংলা এলাকার ভুক্তভোগী রনি, কেএমপি কমিশনারের নিকট দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এমনকি মানজুম কর্তৃক একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীসহ চাঁদা আদায়ের হাত থেকেও রক্ষা পাইনি তৎকালিন লবনচরা থানার এস আই কাজী আকরাম হোসেনও। পুলিশ কমিশনারের কাছে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লবনচরা থানাধীন স্লুইচ গেট আল-আমিন সড়কে বসবাসকারি মৃতঃ মিজানুর রহমানের মেয়ে মানজুম আক্তার দীর্ঘদিন যাবত নিজ বাসাতে নিজে এবং বিভিন্ন মেয়েদের নিয়ে দেহ ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করে আসছে। তাছাড়া সে এই সকল দেহ ব্যবসার বিভিন্ন দৃশ্য মোবাইলে ধারন করে ব্লাকমেইলিং করে মোটা অংকের টাকা কাটিং করাসহ মিথ্যা মামলা, বিভিন্ন থানায় জিডি, অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করে আসিতেছে। ইতোপূর্বে সে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিজে ও ভাই-বোন বাদী হয়ে ধর্ষণ, হত্যা মামলা, শ্লীলতাহানীর মামলা, মারামারিসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে মোটা অংকের চাদাঁ আদায়ের মাধ্যমে মামলা তুলে নেয়। যে টাকা দিতে অপারগতা জানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এমনকি মানজুম বাদী হয়ে তার মেয়ে এনা আক্তার (১৩) কে ভিকটিম সাজিয়ে গত ৭ জুন অভিযোগকারী রুবায়েতেরে বিরুদ্ধে লবনচরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর ১০ ধারায় মামলা(যার নং-৪) দায়ের করে এবং লোক মাধ্যমে রুবায়েতের পিতার নিকট ১০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। তাছাড়া তার দায়েরকৃত মামলার মধ্যে রূপসা মাছ বাজারের সভাপতি মোঃ রমজানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সি.আর- ৭৫০/১৭ (খুলনা), তাং-২০/১০/১৭ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড। উক্ত মামলায় মানজুমের বোনের ছেলে মেহেদী গ্লাক্সো ভবণের সামনে কোকো কোলার গাড়ীতে ধাক্কা লেগে মেটর সাইকেল থেকে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরবর্তীতে কোকো কোলা কোম্পানী ৯ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরন দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে নেয়। তারপরেও মানজুম পরামর্শ দিয়ে তার বোনকে বাদী করে উক্ত রমজানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করে ২০ লক্ষ টাকা চাদাঁ দাবী করে। এনি নামের মেয়েটি মানজুম বলে রমজানের মেয়ে কিন্তু রমজান বলে মেয়েটি তার ঔরশের না, তবুও এনিকে ভিকটিম সাজিয়ে যে মামলা করা হয়েছে তাতে পিতা মৃত রমজান লেখা হলেও বাস্তবে রমজান জীবিত এবং রূপসা মাছ বাজার কমিটির সভাপতি। মানজুমের ভাইজি রিভা(১৩)কে দিয়ে মোংলায় তার গৃহকর্তা রনি, পিতা- ইব্রাহিম (পৌর চেয়ারম্যান), সাং- মোংলা ও রনির স্ত্রী রিমা এর বিরুদ্ধে সি.আর- ৯৬/২১, তাং- ১৩/০৯/২১ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর ৪(২), ৯(৪) খ/১০ ধারায় মিথ্যা মামলা দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ২টি জিডি দায়ের করে যার নং- খুলনা থানার জিডি নং-৫০৮, তাং- ৯/১০/২১ ও জিডি নং ১৩৫০, তাং ২০/০৩/২২ দিয়ে হয়রানী করে। মানজুমের ভাই রাকিব এলাকার চিহ্নিত চোর। তার নামে চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। জনৈক মেহেদী, লবনচরা পুলিশ ফাঁড়ির পাশে, লবনচরা খুলনা বাড়ী থেকে এক বান্ডিল বিদ্যুতের তার চুরি করে এবং পরবর্তীতে প্রমানসহ লবনচরা পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে কোর্ট থেকে ছাড়া পেয়ে মেহেদীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে রাকিব বাদী হয়ে ৩৪০/৩২৩/৩০৭/৩২৬/৩৫৪/৫০৬দবিঃ ধারায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করে এবং ওয়ার্ড কমিশনারের মাধ্যমে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্য এক ব্যক্তি রূপসা শ্মশানঘাট মন্দির এলাকার মোঃ শহীদুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপহরন মামলা দায়ের করে। বাস্তবে উক্ত ভিকটিম মানজুম নিজে পলাতক হয়ে তার মাকে দিয়ে মোঃ শহীদুল ও তার পিতার নামে মিথ্যা অপহরন মামলা দিয়ে তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা আদায় করে। তাছাড়া অভিযুক্ত মানজুম এস আই (নিঃ) মোঃ কাজী আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধেও একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করে এবং পরবর্তীতে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে। এসকল বিষয় নিয়ে ৩১নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিল আরিফ হোসেন মিঠু অবগত আছে। তার নিকট উক্ত মানজুমসহ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একাধিকবার শালিশ দরবার হয়। তিনি মানজুমকে একাধিকবার ভালো হওয়ার জন্য শতর্ক করেন। তবে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মানজুমের সাথে কথা বরা হলেও তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আমি দেখছি সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা নিব।