স্থানীয় সংবাদ

খুলনা জেলা পরিষদের সাবকে চেয়ারম্যান, মেয়র ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রায় ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও কেসিসির সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।রোববার ডাকবাংলা মোড়ের ব্যবসায়ী শেখ মো. মেরাজ হোসেন বাদি হয়ে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডির উপ-কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মেরাজ হোসেনের বাবা ২৮ বছর ধরে ডাকবাংলো মোড়ের হুগলি বেকারের পেছনে জমি ইজারা নিয়ে ব্যবসা করছেন। এ হোসেন এন্টারপ্রাইজ নামে তাদের দোকানে প্রায় এক কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। ২০২৩ সালের ২০ জুন বিকাল ৩টায় জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তার বাবাকে জমির মূল কাগজপত্র নিয়ে ডেকে পাঠান। যাচাইয়ের কথা বলে মূল কাগজ রেখে দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। একপর্যায়ে ১২ জুন তিনি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ওইদিন জেলা পরিষদে গেলে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন, টাকা না দিলে মূল কাগজ ফেরত দেওয়া হবে না এবং দোকানের বরাদ্দ বাতিলের হুমকি দেন। ওই দিন মাহবুব বলেন ওই জমি কেসিসির অধীনে হস্তান্তর হওয়ায় মেয়রকেও ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে। এই ৩০ লাখ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় গত ২১ জুন রাত ১০টায় মেরাজ হোসেনের দোকানটি ভেঙে ফেলে। এতে দোকানে প্রায় ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। ওই সময় সদর থানায় গেলে পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। আসামিরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। বাদিপক্ষের আইনজীবী মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি, দোকান ভাংচুরের অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালত আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button