খুলনায় ঘরে ঘরে জ¦র গলাব্যাথার প্রকোপ বেড়েই চলেছে
ফেরদৌস রহমান: খুলনায় হঠাৎ করে ঘরে ঘরে জ¦র, সর্দি গলাব্যাথা রোগের প্রকোপ বাড়ছে। যে কারণে দারুন বিপাকে পড়েছেন নি¤œ আয়ের শ্রমজীবী ও শিশুরা। পাশাপাশি জ¦র হলে মনে আতংক যে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলো কিনা। এমন আতংক বিরাজ করছে সাধারণ মানুষে। এ বিষয়ে কথা হয় খালিশপুরের নির্মাণ শ্রমিক মোঃ নাইহানের এর সাথে তিনি বলেন, আমি দৈনিক পাঁচশ টাকা হাজিরায় কাজ করি। আমি সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তবে গেল কয়েক সপ্তাহ বৃষ্টিপাত, গরমের, কারণে হঠাৎ করে প্রচন্ড জ¦র হয়। এতে করে আমি অনেক অসুস্থ্য হয়ে পড়েছি। কিছু সঞ্চয় টাকা ছিল তা ও শেষ এত কাজ করতে পারছিনা। কাজ করতে পারিনা তারপরও গরীব মানুষ কাজে যেতে হচ্ছে। শরীরের সাথে আর পারছিনা শরিরও গলায় ব্যথা। বাসা ভাড়া কয়েকমাস বাকি পড়েছে। বাড়ীওয়ালা যথেষ্ট ভালো মানুষ সে এখন ও কোন ভাড়া আদায়ের জন্য কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ করেনি তারপর ও কতদিন এভাবে যাবে জানিনা। সংসারে পাঁচ জন সদস্য বিভিন্ন খরচ থাকে। একই কথা বলেন চাকুরীজিবী কাজী আরাফত হোসেন তিনি বলেন, আমার মেয়েটার বয়স দুই বছর হঠাৎ তার গায়ে প্রচন্ড জ¦র সর্দি, কাশি গলাব্যাথা, রাত্রে কান্না করে প্রাথমিকভাবে নাপা সিরাপ, ও কাশির এম্ব্রক্স সিরাপ সেবন করানো হয়েছে। তবে এখনও কমছেনা। এছাড়া সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা শিশু হাসপাতালে শিশু রোগীর মারাত্মক চাপ। সকলের একই সমস্যা জ¦র, শর্দি, কথা বরেন, ফকিরহাট থেকে আসা সাইয়ানের মা আফসানা তিনি বলেন, আমার ছেলাটার প্রায় চার থেকে পাচদিন হলো জ¦র,শর্দি ছেলেটা কিছু খেতে পারেনা। শরির অনেক শুকিয়ে গেছে। ঘরোয়া উপায়ে স্থানীয় বাজার ফার্মেসী থেকে ওষুধ সেবন করিয়ে কোন উপকার হযনি। এখন শিশু হাসপাতালে এসছি চিকিৎসক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামার্শ দিয়েছে। এ বিষয়ে খুলনা ডেপুটি সিভিলসার্জন ডাঃ মো. কামাল হোসেন বলেন,এই গরম, ঠান্ডা, আর বৃষ্টিপাত কারণে অধিকাংশ মানুষের ভাইরাস জ¦র হচ্ছে। যে কারণে তারা অনেকে অসুস্থ্য হচ্ছে। বিনা কারণে রোদ শরিরে লাগানো ঠিকা হবেনা। জ¦রে আক্রান্তর কারণে শরীর দূর্বল হতে থাকে। এছাড়া বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু’র একটি প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এতে ভয় পাবার কিছু নেই মনে সন্দেহ হলে ডেঙ্গু পরিক্ষা করতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে। আর সামান্য প্যারাসিট্যামল জাতীয় ওষুধ সেবন করতে হবে। এরপরও যদি না কম হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।