মেসার্স রেলিগেট জয়েন্ট ট্রান্সপোর্ট নেতাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ
# লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ #
# শ্রমিকদের তোপের মুখে জরুরী সভায় ৭দিনের মধ্যে আয়-ব্যায়ের হিসাব দাখিলের নির্দেশ
# খরচের ৭০টি ভাউচারের মধ্যে ৬১টি ভাউচারই সহ-সাধারণ সম্পাদকের হাতে লেখা ভাউচার
স্টাফ রির্পোটার ঃ মেসার্স রেলিগেট জয়েন্ট ট্রান্সর্পোটের সভাপতি, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি মোঃ বজলু হাওলাদার ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাগর মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্র্নীতির মাধ্যমে সংগঠনের অসহায়, দুস্থ ও পঙ্গু শ্রমিকদের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি সংগঠনটির বিভিন্ন ফান্ডের শ্রমিকদের অর্থ দূর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে এবং সংগঠনের ৪২ মাসের ব্যায়ের ভুয়া ভাউচার দিয়ে এ অর্থ আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটির সাধারণ শ্রমিকগণ। এ বিষয়ে শ্রমিকরা তাদের হিসাবে বুঝে নিতে গেলে কোন হিসাব না দিয়ে উল্টো সংগঠনের সহ-সভাপতি বিএনপি নেতা দাবী করা মোঃ সাগর মিয়াকে দিয়ে শ্রমিকদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি প্রদান করে। এ সময় বিক্ষিপ্ত শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে থানা পুলিশের সহযোগিতায় সংগঠনটির বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ জরুরী বৈঠকে বসে আগামী সাত দিনের মধ্যে সুষ্ট সমস্যার সমাধানের আশ^াস দিলে শ্রমিকরা শান্ত হয়ে ফিরে যান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, মেসার্স রেলিগেট জয়েন্ট ট্রান্সর্পোটের সভাপতি ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি মোঃ বজলু হাওলাদার তার কিছু অনুসারীদের নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতি করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে নিয়ম বহিভুর্ত ভাবে সংগঠনের অসহায়, দুস্থ ও পঙ্গু শ্রমিকদের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাব না দেওয়াসহ গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। গত ৫ আগস্ট দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর এই সংগঠনের শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার এবং দীর্ঘদিনের না দেওয়া আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইতে গেলে উত্তেজনা দেখা দেয়। গতকাল শ্রমিকরা সংগঠিত হয়ে রেলিগেটস্থ মেসার্স রেলিগেট জয়েন্ট ট্রান্সর্পোট কার্যালয়ে ঘেরাও করে সভাপতি মোঃ বজলু হাওলাদারের কাছে আয় ব্যয়ের হিসাব সহ তাদের ন্যায্য দাবী তোলেন। এ সময় অভিযুক্ত সভাপতি বজলু হাওলাদার তাদেরকে কোন হিসাব দিতে না চাইলে শ্রমিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরবর্তিতে শ্রমিকরা সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ গহুর চন্দ্র শেনের কাছে হিসাব দেখতে চায়। কোষাধ্যক্ষ ব্যায়ের যে হিসাব উপাস্থাপন করে তার ৭০টি ভাউচারের মধ্যে ৬১টি ভাউচারই সভাপতি বজলুর সহযোগি সাগর মিয়ার হাতে লেখা। উত্তেজিত শ্রমিকরা এ সময় বজলু হাওলাদারের অঢেল সম্পদের উৎস এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাগর মিয়ার কয়েক কোটি টাকার সম্পদ কিভাবে হলো তার হিসাব জানতে চায়। এক পর্যায়ে শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা সৃস্টি হলে খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ বিকাল সাড়ে ৫টায় কার্যালয়ে এসে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে তিনি থানা পুলিশসহ আন্দোলনরত শ্রমিকদের নিয়ে জরুরী বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সংগঠনের সকল আয়-ব্যায়ের হিসাব দাখিল করার জন্য সময় বেধে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানের সকল অনিয়ম ও দূর্নীতি প্রকাশ করে দূর্ণীতিবাজ অভিযুক্ত সভাপতি বজলু হাওলাদার এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাগর মিয়ার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে রেলিগেট জয়েন্ট ট্রান্সপোর্টেও সভাপতি ও আ’লীগ নেতার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।