স্থানীয় সংবাদ

দ্বীনকে বিজয়ী করার ক্ষেত্রে যাদের অশ্বস্তি হয়, তারা কখনই ইসলাম বা মুসলমানের বন্ধু হতে পারে না : অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# খালিশপুরে সিরাতুন্নবী (সা.) কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী #

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান রাসূল (সা.) এর জীবনী অধ্যয়নের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, রাসূল (সা.) এর জীবনী ভালোভাবে উপলব্দি করতে হবে। কেন আল্লাহ তায়ালা রাসূল (সা.) কে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন, তা জানতে হবে। তিনি আরো বলেন, রাসূল (সা.) কে দুনিয়ায় পাঠানোই হয়েছে দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য। সংগ্রাম করে এই দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। যারা এই দ্বীনকে অপছন্দ করবে তারাই এর বাধা হয়ে দাড়ায়। দ্বীনকে বিজয়ী করার ক্ষেত্রে যাদের অশ্বস্তি হয়, তারা কখনই ইসলাম বা মুসলমানের বন্ধু হতে পারে না। তিনি বলেন, দ্বীনকে বিজয়ী করা ছাড়া সীরাত আলোচনা অর্থহীন। তিনি তাবুক যুদ্ধের বর্ণনা দিয়ে বলেন, রাসূল (সা.) এর সঙ্গী সাথীরা কেউ দ্বীনকে বিজয়ী করার চেষ্টার বাইরে জীবনযাপন করেননি। তিনি বলেন, সীরাত পাঠ করতে হবে। এই আলোচনা ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। এতে বাধা আসতে পারে। জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে হবে। তাই আমাদের করণীয় হচ্ছে দ্বীন কায়েমের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে দ্বীনকে বিজয়ী করা। খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন বয়রাস্থ বিআইএম মিলনায়তনে ১৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সিরাত কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। ওয়ার্ড আমীর আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ও ওয়ার্ড সেক্রেটারি মাওলানা মাসুম বিল্লাহ’র সঞ্চালনায় ক্বারী জুবায়ের হুসাইনের অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রত্যাশা, প্রেরণা ও টাইফুন শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীবৃন্দ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খালিশপুর থানা আমীর অধ্যাপক ইকবাল হুসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকৌশলী শেখ জাকিরুজ্জামান, সরকারি বিএল কলেজের সাবেক ভিপি এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল হক, ইঞ্জিনিয়ার সালমান ফারসি, ইস্কান্দার আলী, জি এম আব্দুল্লাহ, শফিকুল ইসলাম, শওকত হোসেন, আবুল কাশেম, আব্দুর রাজ্জাক, রবিউল আরিফ, নাজিমুদ্দিন সোহাগ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ত্বহা ইমাম, সিদ্দিক হেলাল, তসলিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি সিরাতুন্নবী (সা.) কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রধান অতিথি আরও বলেন, রাসূল (সা.) এর জীবনী আলোচনার সময় তার সংগ্রামী জীবন বাদ দিলে সেই আলোচনা পূর্ণাঙ্গ হবে না। রাসূল (সা.) যেমন একজন দ্বাঈ ছিলেন ছিলেন, তেমনি সেখানে প্রধানও ছিলেন, রাষ্ট্র প্রধানও ছিলেন। রাসূল (সা.) তার কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখিন হয়েছিলেন। শিয়াবে আবু তালেবে বন্দী জীবন কাটিয়েছিলেন। তায়েফে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। যদি বাধাই না আসে তাহলে কীসের দাওয়াত? এ কাজ করতে গিয়ে যুগে যুগে বাধা এসেছে, বাধা আসবে। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) এর আগমনে সে সমাজ থেকে আলোকের দিশা পেয়েছিল। নানা সমস্যায় জর্জরিত সমাজ কে আদর্শের সমাজে রূপান্তরিত করেছিলেন। যেখানে নারীদের জ্যান্ত পুঁতে ফেলা হতো, সেখানে নারীরা পেয়েছিল তাদের যথাযথ অধিকার।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button