স্থানীয় সংবাদ

নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে মাংস বিক্রেতারা বেপরোয়া

ব্যস্ততম সড়কের ফুটপাত তাদের দখলে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে মাংস বিক্রেতারা যেন বেপরোয়া। তারা কোন শাসন বাড়ন মানতে নারাজ। সরু সড়কের ফুটপাত রেখে সড়কেও তাদের দখলদারিত্ব চলে এসেছে। এ জন্য তারা বিগত দিনে জরিমানা দিলেও দখলদারিত্ব ছাড়তে নারাজ। ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ন এ সড়কটিতে মাংস বিক্রেতাদের কারণে যানজট লেগেই থাকে। শুরু ময়লা পোতা নয়, ৫ আগস্টের পর নগরীর ফুটপাত দখলের যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। যারা এত দিন হকার্স লীগের ব্যানারে বড় বড় কথা বলতো। এখন তারা হকার্স দল সেজে ফুটপাত দখল করছে। বিশেষ করে বৈকালী আল দ্বীন হাসপাতালের বিপরিতে নিত্য নতুন অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠছে। বিষয়টি যাদের দেখার কথা তারা দেখছে ঠিকই। কিন্তু রহস্যজনক কারণে রয়েছে নিরব। দৌলতপুরে যশোর রোডের অবস্থা একই। ৫ আগস্টের আগে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের নিয়মিত অভিযানে ফুটপাত দখল মুক্ত থাকলেও এখন আবার দখলদারের কবলে চলে গেছে। এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে ট্রাফিক বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান। একজন অসুস্থ আরেকজন বদলীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন-এ অজুহাত তাদের। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর কমিটির সাঃ সম্পাদক সাংবাদিক নেতা মাহবুবুর রহমান মুন্না বলেন, বিগত দিনে কেসিসি ও কেএমপির ট্রাফিক বিভাগ ফুটপাত দখল মুক্ত করতে ধারাবাহিকভাবে অভিযান অব্যাহত রেখেছিল। যার কারণে ৮০ ভাগ ফুটপাত দখল মুক্ত হয়। তার সুফল পথচারিরা ওই সময় ভোগ করেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর কেসিসি ও ট্রাফিক বিভাগ একেবারে চুপসে গেছে। তারা ফুটপাত দখল মুক্ত করতে যেন নিরব। এতে করে পথচারিদের ভোগান্তি বেড়েছে। সাথে যানজট বেড়েছে। এ দু’টি সংস্থার দৃশ্যমান কোন কর্মকান্ড তেমন চোখে পড়ছে না। অবিলম্বে পথচারিদের পথচলাচলে স্বাভাবিক করতে ফুটপাত দখলমুক্ত করার জোর দাবি জানান নিসচার এই নেতা। কেসিসির এষ্টেট অফিসার গাজী সালাহ উদ্দীন বলেন, ময়লাপোতা মোড়ের মাংস বিক্রেতাদের ফুটপাত ছেড়ে দিতে একাধিকবার মৌখিকভাবে বলার পরও তারা তা শুনছে না। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট করা হবে বলে তিনি জানান। ফুটপাত দখলের দায়ে বিগত দিনে তাদের জরিমানা করা হয়। তারপরও তারা শুনছে না। ময়লাপোতা মোড়ের মাংস বিক্রতা রাজু বলেন, কোন ক্ষমতার বলে ফুটপাত দখল করিনি। কেসিসি বললে ফুটপাত ছেড়ে দিব। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন খুলনার সম্পাদক এড. কুদরত ই খুদা বলেন, ফুটপাত দখলের যে অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হয়েছে-এ জন্য দায়ী কেসিসি ও পুলিশ। তাদের সঠিক তদারকি থাকলে ফুটপাত কেউই দখল করতে পারে না। কেসিসি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। নাগরিকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার দায়িত্ব তাদের। কেসিসি যাতে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে সেই দাবী এই নাগরিক নেতার।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button