ডিমের মূল্য বৃদ্ধির নিন্দা ও প্রতিবাদ বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ নিম্ম বিত্ত, নিম্ম মধ্য বিত্ত মানুষের প্রোটিন নামে খ্যাত ডিমের অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধিও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর নেতৃবৃন্দ। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় সংগঠণের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ প্রতিবাদ জানায় নেতৃবৃন্দ।
সভাপতি ডা. মো. নাসির উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকনের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, গত ১৫ই সেপ্টেম্বর সরকারের প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১০টাকা ৫৮ পয়সা নির্ধারণ করে দেয়। যা ভোক্তা পর্যায়ে ১১টাকা ৮৭ পয়সায় বিক্রয় হওয়ার কথা থাকলে ও সেই দামে ডিম বিক্রি না হওয়ায় এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিটি ডিম বিক্রয় করছেন ১১টাকা ৮০ পয়সা থেকে সাড়ে ১২ টাকা পর্যন্ত। যা খুচরা বাজারে ১৪ থেকে ১৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে ডিম প্রতি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। এক মাসে প্রায় ১৬০/১৭০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে সিন্ডিকেট। অন্য দিকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৩০ টাকা থেকে ৩৫টাকা। অথচ কোনো কারন ছাড়াই ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে একই বাচ্চা (ব্রয়লার) বিক্রয় হচ্ছে ৪০ থেকে ৫৬ টাকায় এবং সব ধরনের মুরগির বাচ্চা (লেয়ায়) বিক্রয় হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। প্রতিদিন সব ধরনের মুরগির বাচ্চা উৎপাদন ৩০ লাখ। প্রতিটি বাচ্চায় যদি ২০ টাকা অতিরিক্ত ধরা হয় তাহলে প্রতিদিন ৬ কোটি টাকা। গত এক মাসে প্রান্তিক খামারিদের সাথে প্রতারনা করে ১৫০/১৬০ কোটি টাকা কোম্পানী গুলো অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। মন্ত্রনালয় যাদেরকে সাথে নিয়ে দাম নির্ধারন করেছিলেন তারা কেউ সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করছে না। গত ৯ সেপ্টেম্বর ভারত হতে ২ লাখ ৩১হাজার ৮৪০ পিস, ৬ অক্টোবর ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ও ৭ অক্টোবর ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আমদানি হলেও ভোক্তা পর্যায় ডিমের দাম না কমায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, ডিম ও মুরগির বাজারে চলমান অস্থিরতার পিছনে যে সকল ফিড, মুরগির বাচ্চার কোম্পানী, কর্পোরেট কোম্পানী, তেজগাও ডিম ব্যবসায়ী সমিতিসহ শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। তাদের এই সিন্ডিকেট দ্রুত ভেংগে দিয়ে বাজার বৈষম্য দুর করতে হবে। যাদের বাজার দেখভাল করার কথা তাদের আরো দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে। এবং সাধারন ভোক্তাগনের সুবিধার্থে বাজার মনিটর্নিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অসাধু ও অধিক মুনাফা খোরদের চিহিৃত করে কঠিন শাস্তি ও জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে। সভায় বক্তৃতা করেন এবং উপস্থিত ছিলেন মাজেদা খাতুন, ডা. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, ডা. আ. সালাম, জিএম মহিউদ্দিন, এড. কাজি আমিনুল ইসলাম মিঠু, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, মো. কামরুল ইসলাম কামু, মুন্সি আহমেদ হোসেন, সাধারন সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকন, শেখ মোহাম্মাদ আলি, এম এ জলিল, মো. কামরুল ইসলাম ভুট্রো, কাওসারি জাহান মঞ্জু, নাজমুল তারেক তুষার, সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. শাকিল আহমেদ রাজা, আ. রাজ্জাক, কারি শরীফ মিজানুর রহমান, শেখ শহিদুল ইসলাম, কবিতা আহমেদ, মো. আরিফ আহমেদ, মো. জিসান রহমান, তাহেরুল আলম, মো. শফিকুল ইসলাম অভি, শেখ রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক আ. মান্নান, রোকনুজ্জামান বাবলু, আ. মান্নান (মুন্নাফ), মো. জয়নাল আবেদিন, মো. জাভেদ আক্তার, মো. হালিম মোড়ল, মো. আলাউদ্দিন, মো. মিকাইল হোসেন, তৈয়বুর রহমান, মো. আবু বক্কার, মো. আজমল হোসেন প্রমূখ।