স্থানীয় সংবাদ

কেশবপুরে চাঁদাবাজি মারপিট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আ.লীগের ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

যশোর ব্যুরো ঃ যশোর কেশবপুরে চাঁদাবাজি মারপিট ভাংচুর লুটপাটের আলদা ঘটনায় আওয়ামী লীগের ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার ভোগতি হাসপাতাল সড়কের মোসলেম গাজীর ছেলে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ও হাসাবপোল গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে ব্যবসায়ী সোহেল রানা বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুর রহমান উভয় অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উভয় মামলার বাদীর আইনজীবী প্রবীর চক্রবর্তী।
সাইফুল ইসলামের মামলার আসামিরা হলো,মাহাবুর রহমান,মাসুদুর রহমান, ফারুক হোসেন,তরিকুল ইসলাম, রায়হান দফতরী, শহিদ হোসেন, শামীম হোসেন, ফজলু মোড়ল, মশিয়ার রহমান পিরো, লোকমান হোসেন, আশরাফুল জামান, শাহিনুর রহমান শাহিন, তরিকুল ইসলাম টুটুল, মশিয়ার রহমান , আব্দুল আলিম, তানজিম হোসেন,পারভেজ হোসেন, তাহের হোসেন, মান্নান, আলমগীর হোসেন, ইমদাদুল হক, আক্তারুজ্জামন, মগবুল হোসেন, জিয়াউর রহমান মেম্বর, আব্দুস সাত্তার, জসিম উদ্দিন, নিমাই দাস, পলাশ দাস, আব্দুল আলিম, মনিরুজ্জামান, জগায় মন্ডল, হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেন, মনোজ তরফদার, কামরুজ্জামান, নুরুজ্জামান, ফজলুর রহমান মেম্বর, আহম্মদ উল-াহ রাজু, আসাদুল জামান আসাদ, হাফিজুর রহমান, তুষার হোসেন, শওকত হোসেন, আজিজুর রহমান, বাসুদেব পাল, রাব্বি হাসান, শামীম হোসেন, ইকরামুল হোসেন, আশরাফুল , সিরাজ মাঝি, আব্দুল হালিম, মিঠু হোসেন, রাজিব হোসেন, দিপক অধিকারী, বাবু, কানাই নন্দী, ইকবাল হোসেন ও উজ্জল হোসেন।
অপর মামলার অসামিরা হলো,কবির হোসেন, হামিদ রহমান, জামাল হোসেন, মাহাবুর রহমান, আজিজুর রহমান, তরিকুল ইসলাম রাজু আহম্মেদ, আব্দুল আলিম, তরিকুল ইসলাম টুটুল, ফজলুর রহমান, জুয়েল হোসেন, সিরাজ মাঝি, তানজিম হোসেন, পারভেজ হোসেন, অজিত মুখার্জী, বাসু মন্ডল, মশিয়ার রহমান, মাসুম হোসেন, মশিয়ার রহমান পিরো, মিজানুর রহমান, শাহিনুর রহমান শাহিন, আলমগীর হোসেন আলম, লোকমান হোসেন, আব্দল মান্নান, রায়হান দফাদার, আব্দুর রহমান মিঠু, জিয়াউর রহমান মেম্বর, তুষার হোসেন, ইকরামুল হোসেন, আব্দুস সাত্তার, কামরুজ্জামান, আবু তাহের, নুরুজ্জামান, সিনবাদ, আব্দুল হালিম সরদার, মামুন হোসেন, চন্টা , আজিজুর রহমান, আলম সরদার, শহীদ সরদার, মাসুম হোসেন, মনোয়ার হোসেন মিন্টু, ফারুক হোসেন, জসিম হোসেন, হাবিবুর রহমান, রাকিবুল হাসান বাবু, মাহাবুবুর রহমান, রাজিব হোসেন, আজগর আলী, সরোয়ার গাজী, শফিকুল ইসলাম, বাসুদেব পাল, নয়ন সাহা, আবুল বাশার খান, শাহিনুর রহমান শাহিন, মহায়ন, রফিকুল ইসলাম উজ্জল,আজিজুর রহমান মোড়ল, মোনজ তরফদার, আতর আলী গাজী, ওলিয়ার রহমান, খালেক আলী, আব্দুল কুদ্দুস হোসেন, আব্দুল জলিল উদ্দিন, সোহাদ হোসেন, গোলাম কিবরিয়া, হাসান বিশ্বাস, আফরাজুর রহমান তুষার, সোহেল বিশ্বাস, শ্রীকান্ড দাস, জমির হোসেন, টিপু সুলতান ও আব্দুল¬াহ আল মামুন।
সাইফুল ইসলামের মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামিরা আওয়ামীলীগ শাসন আমলের এলাকার ত্রাস ছিলো। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারও সাহস ছিলোনা। সাইফুল ইসলাম একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আসামিদের মধ্যে কয়েকজনে প্রতি মাসে২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হতো ব্যবসা পরিচালনার জন্য। ২০২২ সালের ২১ আগস্ট সন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে সাইফুল ইসলাম কেশবপুর হাসপাতাল মোড়ের পলাশের চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। এমন সময় আসামিরা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার কাছে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও কেশবপুর ছেড়ে চলে যাওয়া হুমকি দেয়। বাকবিতন্ডর একপর্যায়ে আসামি মাহাবুবুর ও মাসুদুর ছুরিকাঘাতে জখম করে সাইফুলকে। পরে আসামিরা সাইফুলের হাসপাতাল মোড়ের স্টীল হাউজ কারখানায় হামলা ও লুটপাট চালায়। সেখান থেকে নগদ ৮ লাখ টাকাসহ ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় আসামিরা। এরপরও আসমিরা সাইফুলের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। গুরুতর আহাত সাইফুলকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করে। আসমিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর মামলা করা যায়নি। পরিবেশ অনুকুলে আশায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
সোহেল রানার মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামিরা কেশবপুরের সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার ও আজিজের ক্যাডার। আসামিরা প্রায় সময় সোহেল রানার কাছে চাঁদাদাবি করে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর রাতে সোহেল রানা মুলগ্রাম বটতলা বাজারে তার মায়ের দোয়া ফার্ণিচারের দোকানে ছিলেন। বিকেলে দুইজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে আসামিরা সোহেল রানাকে কুপিয়ে জখম ও দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং লুটপাট করে। এরপর আসমিরা সোহেল রানা ও তার কর্মচারীদের দোকান থেকে বের করে তালা লাগিয়ে দেয়। এবং চাঁদার ৬ লাখ টাকা না দিলে দোকান বন্দ থাকবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিছুটা সুস্থ হয়ে সোহেল রানা থানায় মামলা করতে গেলে তা গ্রহন করেনি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে আশায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button