স্থানীয় সংবাদ

অভয়নগরে গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালাতক স্বামী

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি ঃ যশোরের অভয়নগরে প্রীতি ম-ল (২১) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজার মহানবমীর রাত। তবে রাত পোহানোর আগেই বেজে গেছে বিসর্জনের করুণ সুর। প্রীতি ম-ল উপজেলা সুন্দলী ইউনিয়নের ডাঙ্গামশিহাটি গ্রামের উত্তম মন্ডলের মেয়ে ও আড়পাড়া গ্রামের সৌমিত্র ধরের স্ত্রী। সে যশোর মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিহতের বাবা উত্তম ম-লের অভিযোগ; পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সৌমিত্র প্রীতিকে হত্যার পরে পালাতক রয়েছে। এমনকি তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থাও করেনি তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগে পরিবারের সম্মতি ছাড়াই সৌমিত্র ধরের বাড়িতে আসে প্রীতি। সৌমিত্রের পরিবার নিজেদের দায়িত্বে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে। বিয়ের পর থেকেই সৌমিত্রের পরিবার তাকে মেনে নিতে পারতো না। প্রায় তাদের মধ্যে সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগে খাকতো।
নিহত প্রীতি ম-লের দাদা হরিনাথ বিশ্বাস বলেন, আমার বোন মারা গেছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত তার স্বামীর বাড়ি আড়পাড়াতে যায়। গিয়ে দেখি খাটের উপর প্রীতির মরাদেহ পড়ে আছে। থানায় খবর দিলে শনিবার রাত ৩টার দিকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তার স্বামী ও পরিবারের লোকেরা পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। প্রীতির স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন মিলে আমার বোনকে মেরে ফেলে তার লাশ রেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এখন তারা ফাঁস লাগানোর নাটক সাজাচ্ছেন। আমার বোনের হত্যাকারীর গ্রেফতারপূর্বক কঠোর শাস্তির দাবি করছি।
প্রীতি ম-লের শাশুড়ি স্বপ্না ম-ল সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমার বৌমা নিজেই গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতেই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তারপর বলা যাবে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button