স্থানীয় সংবাদ

এইচএসসি’র ফল প্রকাশ

# খুলনায় পাসের হার ৭১.১৯ শতাংশ
# কলেজগুলোতে নেই উচ্ছ্বাস #

স্টাফ রিপোর্টারঃ এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে যশোর বোর্ডের ১০টি জেলার মধ্যে এবার খুলনা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। যশোর শীর্ষে। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৬৪.২৯ শতাংশ। আর খুলনা জেলায় পাসের হার ৭১.১৯ শতাংশ। পাসে এগিয়ে মেয়েরা। কিন্তু এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল পেয়ে যাওয়ার কারণে কলেজগুলোতে নেই কোনও উচ্ছ্বাস। শিক্ষার্থীরা আসেননি ক্যাম্পাসে। দু-চার জন ঘুরতে ঘুরতে আসলেও তারা জিপিএ-৫ পাওয়ার পরও নিরানন্দে ছিলেন সহপাঠীদের দেখতে না পেয়ে। ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের উপস্থিতিও ছিল কম। প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, খুলনা থেকে এবার ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৩ হাজার ৮০৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে তালিকায় ছিলেন। ৪৩টি কেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষায় অংশ নেন ২৩ হাজার ৪২৯ জন। পাস করেন ১৬ হাজার ৬৮০ জন। তাদের মধ্যে ছেলে ৮ হাজার ৬১ জন এবং মেয়ে ৮ হাজার ৬১৯ জন। যশোর বোর্ডের পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ১৪৮ জন। ৫৭৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এ সব শিক্ষার্থী ২৩০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নেন। ফল ঘোষণার পর খুলনার সরকারি এমএম সিটি কলেজে গিয়ে দেখা যায়, নেই কোনও শিক্ষার্থী। শিক্ষকও তেমন নেই। নীরব পরিবেশ। কোনও ধরনের উচ্ছ্বাস-উদ্দাম দেখা যায়নি। অথচ এই কলেজে পাসের হার ৯৯.১৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬১৩ জন। সরকারি পাইওনিয়ার গার্লস কলেজেও একই চিত্র। সেখানে পাসের হার ৮৬ শতাংশ। সিটি কলেজের ছাত্র সাদমান ইসলাম জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তিনি ঘুরতে ঘুরতে ক্যাম্পাসে এসেছেন। সাদমান বলেন, ‘অটো পাসে এমন রেজাল্ট হবে প্রত্যাশা ছিল। কারণ এসএসসিতে জিপিএ-৫ ছিল। কিন্তু পরীক্ষা ভালোভাবে শেষ করতে পারলে বেশি খুশি হতাম। আর ফল মোবাইলে পাওয়ার কারণে সহপাঠীরাও ক্যাম্পাসে নেই। এ কারণেও মনটা খারাপ।’ সরকারি এমএম সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মনিরুল ইসলাম সরদার জানান, তার কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগের ৩৮৩ জন, মানবিক বিভাগের ১২৭ জন ও ব্যবসায় বিভাগের ১০৩ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। আর বিজ্ঞান বিভাগের ৩৯২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৯১ জন, মানবিক বিভাগের ৩১৭ জনের মধ্যে ৩১২ জন ও ব্যবসায় বিভাগের ৩৫৭ জনের মধ্যে ৩৫৪ জন পাস করেছে। যারা ফেলের তালিকায় রয়েছে তারা আসলে ফেল করেনি। তারা কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এ কারণেই পাসের হার ৯৮.১৬ শতাংশ।’ সরকারি পাইওনিয়ার গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালমা আরজু জানান, তার কলেজ থেকে এক হাজার একজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। পাসের হার ৮৬ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাসের হার ৯৮ শতাংশ। তবে, এসএমএসে ফলাফল পেয়ে যাওয়ার কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা নেই। ফলে বিগত বছরগুলোর মতো উচ্ছ্বাস নেই। নেই মিষ্টি খাওয়ার আনন্দও।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button