খুলনায় আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা এবং সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, নারীদের দুর্যোগকালীন দুরবস্থা মোকাবিলায় কিছু তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদী টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নারীরা শারীরিক, মানসিক, এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা ও যতœ উপেক্ষিত থেকে যায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে করণীয় নির্ধারণ এখনই প্রয়োজন। মঙ্গলবার সকালে খুলনা নগরীর শিরিশনগরস্থ রূপান্তর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই আলোচনা সভা এবং সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন, খুলনা জেলা কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এই কমিটির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শিলুর সভাপতিত্বে এবং রূপান্তর-এর সিনিয়র কর্মকর্তা অসীম আনন্দ দাসের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, খুলনার উপ-পরিচালক হাসনা হেনা। সম্মানিত অতিথি ছিলেন রূপান্তর-এর নির্বাহী পরিচালক ও আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় পর্ষদের প্রতিষ্ঠাতা সভা প্রধান স্বপন কুমার গুহ। আলোচনায় অংশ নেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ, দিবস উদযাপন কমিটির খুলনা জেলা সদস্য সচিব রাবেয়া বসরী, এ্যাড. পপি ব্যাণাজী, এ্যাড. রওশন আরা, এ্যাড নূরুন্নাহার পলি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য সম্মাননাপ্রাপ্ত ৫জন গ্রামীণ নারী রোকশানা আক্তার, পলি আক্তার, ফাতেমা ইয়াসমিন বুলু, মিনারা আহমেদ ও লতিকা ম-ল তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, ১৫ অক্টোবর বিশ^ব্যাপী আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত হয়ে থাকে। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘দুর্যোগে নারীর সুরক্ষায় দরকার সচেতনতা সৃষ্টি এবং সরকারের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ”।
অনুষ্ঠানে দেশের উন্নয়নে গ্রামীণ নারীদের নানামুখী কর্মকা-কে স্মরণ করে বক্তারা বলেন, গ্রাম পর্যায়ে নারীরা অনেক সংগ্রাম করে নিজেদের অবস্থা এবং অবস্থানের ইতিবাচক পরিবর্তন করছেন। এই পরিস্থিতিতে এই কাজে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে। এটা গ্রামীণ নারীদের জন্য অনুদান নয়, অধিকার। তথ্যে, সম্পদে, কর্মে গ্রামীণ নারীদের পুরুষের সমান অধিকার দিতে হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যে কোন দুর্যোগে একজন নারীর শারিরীক, আর্থিক এবং মানসিক ক্ষতিও কম নয়। এগুলো সংকট কাটিয়ে উঠিয়ে নতুনভাবে শুরু করার জন্য যেসব সেবা-শুশ্রুষা দরকার তাও অপ্রতুল অথবা নেই বললেই চলে। কখনো কখনো বেসরকারিভাবে বিচ্ছিন্ন কিছু উদ্যোগ দেখা গেলেও নারীর জন্য দুর্যোগ পরবর্তী সমন্বিতভাবে কোন সরকারি-বেসরকারি সেবা (শারিরীক, মানসিক, প্রজনন স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সেবা) লক্ষ্য করা যায় না। এই অবস্থার অবসানে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে।