আবুনাসের হাসপাতালে বহির্বিভাগে চোরচক্রের উৎপাত বাড়ছে
# চোর আটক হলেও বাদি না থাকায় মামলা নেই #
শেখ ফেরদৌস রহমান: আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে বহির্বিভাগে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরচক্র। জানাযায়, বহির্বিভাগে সেবা প্রত্যাশিত রোগীদের জটলার কারণে রোগী সেজে চোরচক্র হাতিয়ে নিচ্ছে রোগীর মূল্যবান জিনিসপত্র, টাকা, মোবাইল সহ স্বর্ণলংকার। এছাড়া এসব চোরচক্রের টার্গেট থাকে বৃদ্ধ বা বেশি অসুস্থ্য রোগীদের উপর। এছাড়া গ্রামের থেকে আগত সহজ-সরল রোগীদের। জানাযায়, গেল বুধবার আবু নাসের হাসপাতালের এক্স-রে কক্ষে সেবা প্রত্যাশিত রোগী বৃদ্ধা রিজিয়া খাতুন(৭৫) এসেছিলেন শারিরীক সমস্যা নিয়ে। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে লাইনে দাড়িয়ে এক্স-রে অপেক্ষায়। এমন সময়ে রোগীদের জমায়েত বাড়তেই থাকে। তবে হঠাৎ করে দেখতে পাই আমার হাতে থাকা পার্টস ব্যাগ নেই। আমি তখন চিৎকার করতেই অন্য রোগীরা দেখতে পায় একজন মহিলা দ্রুত গতিতে বের হচ্ছে। আমি বয়স্ক মানুষ আমি কাউকে দেখতে পারিনি। এমন সময়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা সন্দেহভাজন মহিলাকে থামতে বলেন, আর তার হাতে কি দেখতে চাইলে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে আশেপাশে থাকা অন্য রোগীরা তাকে ধরে ফেলে আর আমার পার্টস ব্যাগউদ্ধার করে। আমার ব্যাগে একটি স্বর্ণের চেইন ও কিছু টাকা ছিল। মূলত এক্সরে করতে গেলে কোন ধাতু শরিরে রাখা যায়না। এসময়ে আটককৃত মহিলাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর নিকট সোপর্দ করা হয়। আটককৃত মহিলার নাম আনোয়ারা তার বাড়ী শিরোমণী খানজাহান আলী থানা এলাকায়। এছাড়া জানায়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ রোগীদের মধ্যে চোরচক্র প্রবেশ করে ব্লেড বা অন্যকোন ধারালো বস্তু দিয়ে রোগীদের ব্যাগ থেকে টাকা সুযোগ বূঝে স্বর্ণলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। মূলত হাসপাতালটির বহির্বিভাগে যেখানে রোগীদের জটলা বেশি থাকে। বা রেডিওলজি বিভাগে বা এক্স-রে রুমে এমআরআই রুমে এসব ঘটনা বেশি ঘটছে। এতে করে সেবা প্রত্যাশি অসহায় গরীব রোগীরা সব কিছু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে। যদিওবা হাসপাতালটিতে সব সময়ে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে চোর চক্রদের হতে সাবধান বা কোন দালাল চক্রদের কাছে যাবেন না। এছাড়া রয়েছে সিসি ক্যামেরা। এ বিষয়ে শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শেখ আবু শাহীন বলেন, প্রায় সময়ে চোরচক্র এমন ঘটনা ঘটিয়ে চলছে। হাসপাতালটিতে আমরা মাইকে প্রচার করছি সাবধানতা অবলম্বন করতে মালামাল নিজ হেফাজতে রাখতে। আমাদের জনবল আনসার সদস্য মারাত্মক সংকট আছে। এছাড়া গেল বুধবার একজন নারী চোরেক আটক করা হয়েছে। আমরা সেই নারীকে ও উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের চেইন সহ পুলিশের হাতে দিয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নিতে। এ বিষয়ে খালিশপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আনোয়ারা নামে একজন নারী চোরকে আটক করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী বৃদ্ধা রাজিয়া বেগমের পক্ষ থেকে কোন মামলা করা হয়নি। আমরা তার স্বজনের কাছে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। এরপর থেকে আর এসব অপকর্ম করবেনা।