দিঘলিয়ার হাটে বাজারে ডিম মিলছে না বেঁধে দেওয়া দামে
সৈয়দ জাহিদুজ্জামান, দিঘলিয়া খুলনা থেকে ঃ
আড়তে ডিম সরবরাহ শুরু হলেও দাম আসেনি ভোক্তার নাগালে। সরকারি সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই। প্রতি ডজনে বাড়তি গুনতে হচ্ছে অন্তত ২০ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ, এখনো চড়া পাইকারি দাম। গতকাল দিঘলিয়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। কিছুদিন ধরে ডিমের বাজারে চলা অস্থিরতার লাগাম টানতে গত মঙ্গলবার দাম বেঁধে দেয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সে অনুযায়ী, গতকাল থেকে খুচরা বাজারে ডিম মেলার কথা প্রতি ডজন ১৪২ টাকায়। কিন্তু সে নির্দেশনা মানছেন না বিক্রেতারা।
স্থানীয় সেনহাটির বাসিন্দা পথের বাজার দোকানদার লিয়াকত এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি প্রতিটা ডিম ১৩.৫০ টাকা বিক্রি করছেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সংস্থার নির্ধারিত মূল্যে ডিম না বিক্রি না করে বেশি দামে ডিম বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান ডিম চড়া মূল্যে কেনা। পথের বাজারের অপর এক ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান তিনি বড় সাইজের ডিম ১৩ টাকা করে বিক্রি করছেন। পথের বাজারের ডিমের পাইকারি ব্যবসায়ী মোঃ ইসলাম বিশ্বাস এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি বড় সাইজের একটা ডিম ১২.৮০ টাকা করে বিক্রি করছেন। মাঝারি ডিম ১২.৫০ টাকা। ছোট ডিম ১২ টাকা। দুই একদিনের মধ্যে ডিমের বাজার আরো কমে আসতে পারে বলে তিনি জানান। পাইকারিতেই কিনতে হচ্ছে ১৫৩ টাকায়। পথের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে আসতে শুরু করেছে ডিম। তবে বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। মানা হচ্ছে না উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা সরকার নির্ধারিত দাম। বাজারের বিক্রেতারা জানান, আড়ত থেকে এখনো পর্যাপ্ত ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। যাও মিলছে, তাও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্যে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি ডজন ডিম খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৬ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে বাড়তি দামে কেনায়, খুচরায়ও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। বড় বড় কোম্পানিগুলোর কারণেই ডিমের বাজারে এ নৈরাজ্য বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। কেউ কেউ খাদ্য ও ঔষুধের মূল্য বাড়তিকে দায়ী করেন।