আশাশুনিতে ঘের দখল ও চাঁদাবাজীর অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনি প্রতিনিধি ঃ ৫ আগষ্টের পরে আশাশুনিতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, মৎস্য ঘের জবর দখলসহ বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে দৈনিক সাতনদী পত্রিকায় ষড়যন্ত্রমূলক খবর প্রকাশের প্রতিবাদে কথিত চাঁদাদাতারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রবিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম হোসেনুজ্জামান বলেন, ১৮ অক্টোবর আঞ্চলিক পত্রিকায় (দৈনিক সাতনদী) নিউজ করা হয়েছে, আমি নাকি ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দিয়েছি। সংবাদটি শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি। আমি তখন খুলনায় অবস্থান করছিলাম। ৫ আগস্টের পরে কিছু দুস্কৃতিকারী আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে। বিএনপির মুরব্বীরা এর শক্ত প্রতিবাদ করেন। দলমত নির্বিশেষে সকলের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি আওয়ামীলীগের কর্মী। কখনো সহিংসতার রাজনীতি করিনি।কখনো রাজনীতিক হিসাবে কাউকে আঘাত করিনি। আমার নামে কোন জিডি, মামলা হয়নি। আমি আদর্শ নিয়ে থাকি। কারো সাথে কোন সমস্যা হয়নি। আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল কাউকে চাঁদা দিয়েছি কিনা। আমি বলি কাউকে চাঁদা দেইনি। সংবাদের ব্যাপারে আমি সাংবাদিককে জিজ্ঞাসা করেছি, আমার ফেসবুক আইডিতে এর প্রতিবাদ দিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, (যাদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়া হয়েছে বলে সংবাদে অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে) ইউপি সদস্য মঙ্গল চন্দ্র সরকার, প্যানেল চেয়ারম্যান শরিয়াতুল্যাহ, হোটেল ব্যবসায়ী আঃ আলিম, স্বর্ণকার পরেশ অধিকারী, হোমিও চিকিৎসক ডাঃ বিক্রম মন্ডল, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ব্যবসায়ী মহিতুর রহমান, তাহমিদ হোসেন ডেভিট, ইউপি সদস্য তপন মন্ডল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারী মৃন্ময় মল্লিক। তারা সকলে বলেন, প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমাদের কাছে কেউ চাঁদা চায়নি, আমরা কাউকে চাঁদাও দেইনি। কোন সাংবাদিক আমাদের সাথে কথা বলেনি, কোন তথ্যও কেউ নেয়নি। কেউ কেউ বলেন তারা ফেস বুকে সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আঃ আলিম আরও বলেন, আমি ৫০ বছর ধরে আশাশুনিতে হোটেল ব্যবসা করে আসছি। আমার কাছে বিএনপি বা কোন দলের পক্ষ থেকে চাঁদা চাওয়া হয়নি। কাউকে চাঁদাও দেইনি। তারা মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে মান সম্মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনেরর কাছে জোর দাবী জানান।