স্থানীয় সংবাদ

খুমেক হাসপাতালে রোগীদের টিকিট বিক্রির টাকা জমা না দিয়ে আতœসাৎ!

# অভিযোগের তীর ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজ (খূমেক) হাসপাতালে বহি:বিভাগে চতুর্থ তলা (শিশু) টিকিট কাউন্টারে ৬৭টি বই ( প্রতিটি বইতে একশত করে পাতা থাকে) এর টিকিট বিক্রির ৬৭ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়টি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের অফিস সহায়ক মো: কামাল হোসেন টিকিট বিক্রির টাকা জমা না দেয়ার প্রসঙ্গে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করেন। এরপর কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত আউটসোর্সিং (ক্লিনার) শিউলি আক্তারকে টিকিট বিক্রির টাকা জমা দেয়ার বিষয়ে তাকে চিঠি প্রদান করেন। সেই চিঠির জবাবে শিউলি আক্তার উল্লেখ করেন টিকিট বিক্রির সব টাকা প্রতিদিন ক্যাশিয়ার আলিমুজ্জামানের কাছে প্রদান করেছেন। টিকিট বিক্রির টাকা জমা না দিয়ে একে অপরের উপর দোষারোপ করছেন। তবে অভিযোগের তীর হাসপাতালের ক্যাশিয়ার আলিমুজ্জামানের বিরুদ্ধে দিকেই যাচ্ছে। একজন আউটসোর্সিং (ক্লিনার) কর্মী হয়ে তাকে দিয়ে কিভাবে টিকিট কাউন্টারে টিকিট বিক্রির কাজে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: মো: আক্তার উজ জামান গতকাল (রোববার) রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা বলে যতদ্রুত সম্ভব টাকাগুলো আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য চাপ দিয়েছি। হাসপাতালের ক্যাশিয়ার বলছে, আমি নেইনি, আবার আউটসোর্সিং শিউলি আক্তারও বলছে আমি টাকা জমা দিয়ে দিয়েছি। এখন যাই হোক না কেনো এ মাসের মধ্যে টাকাগুলো সমন্বয় করে দেয়ার বিষয়ে ক্যাশিয়ার আলিমুজ্জামান তাকে অবহিত করেছেন। একজন আউটসোসির্ং ক্লিনার হয়ে কিভাবে টিকিট কাউন্টারে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেয়া হলে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, লোকবল কম থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আমি জানতে পেরেছি। যেহেতু এদের নিয়োগের বিষয়ে আমি জানা ছিলোনা। তবে এখন থেকে এরকম আর হবে না বলে তিনি জানান। এ ঘটনার পর থেকে চাকরি থেকে শিউলিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিস সহায়ক মো: কামাল হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, গত ১৯ মে ৪০০টি বই বহি: বিভাগের চতুর্থ তলার শিশু টিকিট কাউন্টারে কর্মরত শিউলি আক্তার বুঝিয়ে দেয়। একটি বইতে পাতা থাকে ১০০টি। প্রতিটি টিকিট মুল্য ১০ টাকা। এর মধ্যে ৬৭টি বই টিকিট বিক্রির ৬৭ হাজার টাকা ( প্রতিটিকিট ১০ টাকা) ক্যাশিয়ার কাছে জামা দেয়নি বলে জানতে পারি। বিষয়টি আমি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এ ঘটনার পর থেকে কর্তৃপক্ষ শিউলি আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এদিকে হাসপাতালের চিঠির জবাবে শিউলি আক্তার তার লিখিত জবাবে উল্লেখ করেন বহি:বিভাগ ভবনের ৪র্থ তলায় শিশু কাউন্টারে আমি ছ্ড়াা আমার সহকর্মী দুইজন লিজা ও শাহনাজ টিকিট বিক্রিয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমার কাউন্টারের টিকিট বিক্রির টাকা আমি প্রত্যেকদিন যথা সময়ে ক্যাশিয়ার মো: আলিমুজ্জামানের নিকট নিয়মিত জমা দিয়েছি।
হাসপাতালের একাধিক সূত্র মতে, এর আগেও আলিমুজ্জামান খুমেক হাসপাতালের ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে দুর্ণীতির অভিযোগ উঠেছিলো। তখন হাসপাতালে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব ছিলেন ডা: এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ। ্ওই সময় হাসপাতালের পরিচালক তাকে বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করেন। পরে হাসপাতালের পরিচালক ডা: এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ অবসরে চলে গেলে পরে পুনরায় বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে খুমেক হাসপাতালে পুনরায় বদলী হন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের ক্যাশিয়ার আলিমুজ্জামান বলেন, আমাকে নিয়ে কয়েকজন ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি ওই টাকার বিষয়ে কিছু জানি না। ওই টাকাগুলো শিউলি আক্তার আমার কাছে জমা দেয়নি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button