পহেলা নভেম্বর থেকে বন্ধ হচ্ছে পলিথিনের ব্যবহার
# হুমকির মুখে পরিবেশ-কৃষি জমি #
শেখ ফেরদৌস রহমান : আগে থেকে নিষিদ্ধ ছিল পলিথিনের ব্যবহার। তবে, আগামী পহেলা নভেম্বর হতে বন্ধ হচ্ছে এই পলিথিনের ব্যবহার। আরও কঠোর হচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে খুলনা সহ আশে পাশের জেলায় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোতে পলিথিন ব্যবহার বন্ধের জন্য তদারকি শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তর। এদিকে এতদিন আইন থাকলেও ছিলনা কার্যকর যেকারণে দিন দিন অবৈধ পলিথিনের ব্যবহার বেড়েই চলছে যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক অপচনশীল উপাদান। পলিথিনের ব্যাবহার। যেন কোন ভাবে লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছেনা। এই নিষিদ্ধ পলিথিনির উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে হবে। মাঝে-মধ্যে প্রশাসনের অভিযানে বিপুল পরিমাণ পলিথিন জব্দ হলেও এর ব্যবহার বা বিক্রি কখনও থামছেনা। খুলনা মহানগরী ও তার আশেপাশের জেলায় হাট, বাজার, শপিংমল থেকে শুরু করে গ্রামের ভিতর ছোট ছোট মুদি দোকান গুলোতে বেড়েই চলছে পলিথিনের ব্যবহার। এছাড়া বর্তমান যেভাবে এই পলিথিনের ব্যবহারের মাত্রা বাড়ছে এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে কৃষি জমি গুলো। এছাড়া দেখা যায় এই পলিথিন ব্যবহারের পর যত্রতত্র যেখানে সেখানে ফেলে দেয়াও অন্যতম কারণ। পরিবেশের উপর মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনছে এই বিষাক্ত পলিথিন। বিশেষ করে কৃষি জমি, খাল বিল নালা, পকুর, ড্রেন সহ জলাশায়ে ফেলে রাখা পলিথিন জমা হবার কারনে ঐসব স্থানে জলের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধা সৃষ্টি হয় । যার কারনে মশা-মাছির প্রজনন বৃদ্ধি, কৃষি জমিতে মাটি হারাচ্ছে তার উর্বরতা। পানিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়া সহ পরিবেশের উপর মারাত্মক ক্ষতির সৃষ্টি করছে এসব পলিথিন। গেল দুই বছর আগে খুলনা জেলা প্রশাসন ও র্যাবের সহোযোগিতায় নগরীতে প্রায় দশ লাখ টাকার পলিথিন জব্দ করলে ও আবারো কিছু দিন পর পুনারায় বহাল তবিয়াতে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজার এলাকার ব্যবসায়ি আজমির হোসেন বলেন, পলিথিন এখন সবাই ব্যবহার করছে। আমি একা না যে পলিথিনে করে ক্রেতাদের মাছ বিক্রয় করছি । এসব পলিথিন যেসব দোকানে পাইকারী বিক্রি হয় তাদের যেয়ে প্রশ্ন করেন আপনারা কোথা পেয়েছেন। এবিষয়ে খুলনা সচেতন নাগরীক মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, পলিথিন ব্যাবহারের উপর সরকারীভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকার পর ও ব্যবহার কমছেনা। এসব ক্ষতিকারক পলিথিন ব্যাগ ব্যাবহার ও উৎপাদন এর উপর আইন করা হয়েছে । রয়েছে জরিমানা ও শাস্তির বিধান ; অথছ কেউ মানছেনা । পাশাপাশি এই অপচনশীল পলিথিন ব্যাবহারের মাত্রা বর্তমান সময়ে অধিক মাত্রায় বেড়েছে তাই এখন থেকে সরকার যদি এই পলিথিন ব্যাবহারের উপর কঠোর অবস্থানে না যায় তাহলে ভবিষৎ আমাদের কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়বে। নদীর তলাদেশ কমে আসবে। পরিবেশ বাঁচাতে হলে। দ্রুত এর পলিথিন ব্যবহারের উপর কঠোর নিশেধাজ্ঞা করতে হবে।এবিষয়ে
পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপঃ পরিচালক মো. আসিফুর রহমান বলেন, আমরা পলিথিন বন্ধে নিয়মিত অভিযান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। এছাড়া আগামী পহেলা নভেম্বর হতে পলিথিন বন্ধের জন্য আরও কঠোর অভিযান পরিচালনা করছি।যদিওবা আগের থেকে পলিথিন ব্যাবহার বন্ধ ছিল। আমরা খানজাহান আলী মার্কেট বড় বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে চার থেকে পাচ ট্রাক পলিথিন জব্দ করতে পেরেছি।আমরা নগরীর শপিংমল যেমন সপ্ন,শপিং কমপ্লেক্স ,সহ বিভিন্ন বড় বড়, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর গুলোতে পলিথিন ব্যাবহার বন্ধ করতে বলেছি।তবে, নভেম্বার মাস হতে আরও কঠোর ভাবে কাজ করা হবে।আর এগুলো মূলত ঢাকা হতে আমদানি করছে এজন্য কোন পলিথিন কারখানা সনাক্ত করতে পারছিনা।