স্থানীয় সংবাদ

রূপসায় জামায়াতের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

রূপসা প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক আয়োজিত সাধারণ সভা গতকাল সন্ধায় ঘাটভোগের মোড় জামেমসজিদ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা জামাতের নাযেবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন রূপসা থানা আমীর মাওলানা লবিবুল ইসলাম। ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মোঃ নাসিম সরদার এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল আমিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি মোঃ নাজিমউদ্দীন, থানা শুরা সদস্য হাফেজ জাহাঙ্গীর ফকির, জামায়াত নেতা জাহিদুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান লস্কর, মাওলানা আঃ অহাব, মাওলানা ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।ফাকুর রহমান পলাশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জমি ও রিসোর্টের মালিক বেগম মমতাজ লিলি। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বেগম লিলির ছেলে মাসুদুর রহমান পার্কের অবকাঠামো তৈরি করে অবানিজ্যিকভাবে পরিচালনা করে আসছিলেন। পরবর্তীতে আত্মীয় মেহেদী হাসানের প্রস্তাবে বানিজ্যিকভাবে পরিচালনার জন্য ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর কালাম মাহমুদ এবং আশফাকুর রহমান পলাশের সাথে একটি চুক্তি হয়। যেখানে তার ছেলে মাসুদুর রহমানকে ৪০% শেয়ারে মালিকানা রেখে মাসিক ৩০ হাজার টাকা ভাড়া প্রদাানের সিদ্ধান্তে চুক্তিপত্র সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু প্রথম মাসেই পলাশ মাসুদুর রহমানকে হত্যার হুমকি দিয়ে পার্ক থেকে বের করে দেয়। কয়েকমাস অনিয়মিত ভাড়া দিলেও পরবর্তীতে বিগত ১২ মাস কোন ভাড়াই প্রদান করেনি। যার কারণে চলতি বছরের ১০ জুলাই ভাড়া আদায়ের জন্য উকিল নোটিশ প্রদান করলেও সে ভাড়া না দিয়ে ফোনে হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে তিনি খবর নিয়ে দেখেন, পলাশ হংকং আওমীলীগ এর সভাপতি। যে শক্তির বলে গত ২ বৎসর সে পার্ক দখল করে ব্যবসা করে। শুধু তাই নয়, পার্কে অসামাজিক কার্যক্রমও চালাতে থাকে। এছাড়াও এক মেলা ব্যবসায়ীকে পার্কে মেলা করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ভাড়া দেয় এবং রেস্টুরেন্ট সাবলেট দেয়। যা চুক্তি বহির্ভুত ছিলো। এ ব্যাপারে মমতাজ লিলি গত ১৫ অক্টোবর পলাশের নামে বটিয়াঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন এবং ঐ পার্কে তালা মেরে দেন। পরের দিন পলাশ তার বাড়িতে ৪/৫ জন লোক পাঠিয়ে তালার চাবি চাইলে মমতাজ লিলি ভাড়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত চাবি দিতে অস্বীকৃতী জানান। এরপর পলাশ কিছু লোকদের তার পিছনে লেলিয়ে দেন। যারা তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দেয় এবং চাপ প্রয়োগ করে চাবি দিতে বাধ্য করে। সবশেষে এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ভাড়া সঠিক সময়ে ও ছেলের শেয়ারের অংশ চেয়ে এবং পার্কে অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button