স্থানীয় সংবাদ

দাদু ভাইয়ের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সকল সংগ্রামের অগ্রসেনানী ছিলেন দাদু ভাই। দৃঢ়তা, অটুট মনোবল, সাহস, ধৈর্য্য এবং ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতার একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীকার আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। ভাষা আন্দোলনের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে ৬৪ বছর আগে যারা খুলনায় মিছিল সমাবেশ-এর আয়োজন করতেন তাদের একজন এম নুরুল ইসলাম। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খুলনার রাজপথে উপস্থিতি ছিল সার্বক্ষনিক। সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর কেডিএ এভিনিউ (তেঁতুল তলা মোড়) সোনাডাঙ্গা থানার বিএনপির কার্যালয়ে খুলনা বিএনপি আয়োজিত ভাষা সৈনিক, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য, খুলনা মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালিন সভাপতি, বর্ষিয়ান রাজনীতিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক সংসদ সদস্য এম নুরুল ইসলাম দাদুভাই এর চতুর্থ মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি আরও বলেন, সেদিন তিনি ছিলেন টগবগে যুবক। ঢাকার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে খুলনা ভাষা আন্দোলন গড়ে তুলতে সেদিন হাতে গোনা কয়েকজন যুবক শ্রম ও মেধা নিয়োগ করেন। ঢাকার অনুরূপ খুলনায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হরতাল পালিত হয়। হরতাল সফল করতে যারা এগিয়ে আসেন তাদের মধ্যে তিনি একজন। ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ছাত্রদের মিছিলে গুলিবর্ষণ ও ছাত্র নিহত হওয়ার প্রতিবাদে খুলনার যুব সমাজ ২৩ ফেব্রুয়ারি মিছিল বের করে। তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে দাদু ভাই বলে পরিচিত। তিনি ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন জাগদলে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে খুলনা মহানগরী বিএনপি’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দীর্ঘ সময় এই দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭৯ সালে বিএনপির মনোনয়নে খুলনা সদর আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে খুলনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের নেতাকর্মিদের মাঝে তার অবদান অনুকরনীয় হয়ে থাকবে সব সময়। আলোচনা শেষে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ নাজমুল হাসান। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি’র সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু’র পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন মীর কায়সেদ আলী, জাফর উল্লাহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দিপু, ইকবাল হোসেন খোকন, নিজাম উর রহমান লালু, সাদিকুর রহমান সবুজ, মজিবর রহমান ফয়েজ, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, মোস্তফা কামাল, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, শামসুজ্জামান চঞ্চল, ইশহাক তালুকদার, আকরাম হোসেন খোকন, এইচ এম সালেক, হাসান মেহেদী রিজভী, রবিউল ইসলাম রবি, মহিউদ্দিন টারজান, রফিকুল ইসলাম শুকুর, আব্দুল জব্বার, বাচ্চু মীর, শরিফুল ইসলাম বাবু, আশরাফ হোসেন, ওমর ফারুক, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, মেহেদী হাসান সোহাগ, মিজানুর রহমান খোকন, আব্দুল জলিল হাওলাদার, হেদায়েত হোসেন হেদু, আল বেলাল, রিয়াজুর রহমান, মিজানুজ্জামান তাজ, ইকবাল হোসেন, গোলাম নবী ডালু, কাজী ফজলুল কবির টিটো, মোহাম্মদ আলী, লিটু পাটোয়ারী, হুমায়ুন কবির, আলমগীর হোসেন, নুরুল ইসলাম লিটন, শামীম খান, শাকিল আহমেদ, সৈয়দ গাজী, মোস্তফা জামান মিণ্টু, সুলতান মাহমুদ সুমন, রাজিবুল আলম বাপ্পী, সেলিম বড় মিয়া, সমির সাহা, গৌতম দে হারু, সাখাওয়াত হোসেন, আলম হাওলাদার, আব্দুর রব মুন্সি, মোল্লা সোলাইমান, কাজী সেলিম, মাহমুদ হাসান মুন্না, কামরুল হোসেন এরশাদ, খায়রুল বাসার, সালাউদ্দিন সান্নু, আসাদ সানা, জামাল হোসেন, ওহাব শরীফ, মোল্লা মেহেদী হাসান, ইউনুচ শেখ, কামরুল আলম খোকন, আব্দুল খালেক সরদার, আশিকুর রহমান আশু, আনোয়ার সরদার, আবুল বাসার, আসমত হোসেন, এস এম মাহমুদ, ইকবাল ফকির, নিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ডা. রিয়াদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম বাবুল, শামীম রেজা, শহিদুল ইসলাম, আল আমিন রাসেল, সোহেল খন্দকার, আজাদ ভুঁইয়া, আতিকুল ইসলাম, সজল আকন, নাইমুল ইসলাম, মাস্টার সোহেল আহমেদ, হারুন হাওলাদার, ওহিদুজ্জামান শিপলু, সাইজউদ্দীন সাজু, কামরুজ্জামান সিরাজ, তানভিরুল হুদা লিটন, সাইফুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, আবু দাউদ খান, জামাল উদ্দিন, জাফর হাওলাদার, রমিজ খান প্রমুখ।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button