নতুন স্বাধীনতাকে কখনো ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তুহিন
# ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত #
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারকে পতন ঘটানোর মাধ্যমে আমরা নতুন করে যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা আমাদের সবাইকে ধরে রাখতে হবে। এই স্বাধীনতাকে কখনো ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বসে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা গভীর ষড়যন্ত্র করছে। দেশে পতিত সরকারের কিছু কুলাঙ্গার আছে যারা বাংলাদেশকে অন্য দেশের হাতে তুলে দিতে চায়। স্বৈরাচারীর পতন হয়েছে কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা অত্যন্ত তৎপর, তাদের হাতে থাকা লুটের টাকা এবং অবৈধ অস্ত্র দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তারা স্বৈরতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চায়। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় দৌলতপুর থানার ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কখা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান গত ১৭টা বছর যে লড়াই করেছে অন্য কোনো রাষ্ট্রনায়কের এমন লড়াই করার ইতিহাস নেই। এ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি তার জীবনকে বিপন্ন করেছেন। তার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনকে বিপন্ন করেছেন, জেল খেটেছেন। তারপরও তিনি এই দেশ নেতাকর্মীদের ছেড়ে চলে যাননি। তিনি প্রতিনিয়ত আন্দোলন সংগ্রামের জন্য নেতাকর্মীদের সাহস জুগিয়েছেন। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এদেশের বিএনপি নেতাকর্মীসহ অনেক মানুষকে গুম, খুন, আয়নাঘর সহ বিভিন্ন জেলখানায় কারাবন্দি করে রেখেছিলো। পালিয়ে যাওয়ার দুই দিন আগেও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বলেছিলেন শেখ মুজিবের মেয়ে দেশ থেকে পালায় না। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, ছাত্র- জনতার আন্দোলনের মুখে তিনি আজ দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
বিএনপি নেতা আনসার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, রেহানা ঈসা, এড. নুরুল হাসান রুবা, শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ ইমাম হোসেন, মজিবুর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, মতলুবুর রহমান মিতুল, নেহিবুল হাসান নেহিম, লিয়াকত হোসেন লাভলু, শফিকুল আমিন লাভলু, আব্দুল ওহাব, মো. খবির উদ্দীন, সাইফুল ইসলাম মামুন, ইকবাল খন্দকার, মাসুদ রানা ডাবলু, জয়নাল আবেদীন, মিনারুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন, আরমান হোসেন, বেল্লাল হোসেন, মিজানুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, মনিরুল ইসলাম নিশা, ওহায়িদুজ্জামান, পারভেজ ইসলাম, সোহেল মোল্লা, এম এম জসিম, সাঈদ দিদার, হাদিসুর রহমান নোমান, হায়দার আলী লাবু, সালমা বেগম, মদিনা বেগম, আল আমিন রতন, রবিউল ইসলাম প্রমূখ। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলের মাধ্যমে অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীনকে সভাপতি, শেখ আনসার আলীকে সাধারণ সম্পাদক ও বেল্লাল হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বেগম রেহানা ঈসা।