স্থানীয় সংবাদ

দীর্ঘ ২৬ দিন পর খালিশপুর লাল হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা চালু

স্টাফ রিপোর্টারঃ গত ২৬ দিন ধরে খালিশপুর লাল হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বন্ধ ছিল। চিকিৎসক না থাকার অজুহাতে এ চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাকা হয়। এতে করে এলাকার সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি হয়। হাসপাতালে ঢুকতেই দেখা যায় টিকিট বিক্রেতা খালেদা টিকিট হিসাব মিলাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দরিদ্র মানুষের হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত লাল হাসপাতালে প্রায় ৯০ ভাগ রোগীই মহিলা। বাকী ১০ ভাগ পুরুষ। এমনই তথ্য দিলো হাসপাতালের স্টাফরা। প্রতিদিন ১৫০ থেকে ১৬০ জন রোগী এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। গত ২৬ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসক নেই। হাসপাতালের চিকিৎসকের তিনটি আর উপ-স্বাস্থ্য কর্মকর্তার (সেকমো) পদ ২টি থাকলেও ওই দিন থেকে কোন চিকিৎসক নেই হাসপাতালে। হাসপাতালটি খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও সিভিল সার্জন অফিস যৌথভাবে পরিচালনা করে থাকেন। সিভিল সার্জন চিকিৎসক ও ওষুধ সরবরাহ করে থাকেন। আর কেসিসি স্টাফ সরবরাহ করে থাকেন। শুধু চিকিৎসক নয় কোন কোন স্টাফ দেরী করে হাসপাতালে আসেন আবার ফিরে যান নির্ধারিত সময়ের আগে। এতে করে এলাকাবাসী সুচিকিৎসা থেকে হচ্ছেন বঞ্চিত। খালিশপুরের ঐতিহ্যবাহি লাল (ম্যাটারনিটি) হাসপাতালের চিকিৎসক দীর্ঘ ২৬ দিন শুন্য থাকায় স্থানীয় বিএনপি নেতা রেজাউল করিম স্বপন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এরা বর্তমান সরকারের দুর্নাম করতে ষড়যন্ত্র করছে। অনেক রক্তের বিনিময়ে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে জনগণ। সেই স্বাধীনতা যাতে নস্যাৎ না হয় সে জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সজাগ দৃষ্টি রাকঅর আহবান জানান। কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.স্বপন কুমার হালদার চিকিৎসক আছে কি না সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তিনি জানান, লাল হাসপাতালে প্রধানত সাধারণ রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়। এখানে কেসিসি ও সিভিল সার্জন অফিস যৌথভাবে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। এখানে চিকিৎসকের পদ ৩টি থাকলেও চিকিৎসক আছেন একজন। সহকারি চিকিৎসক আছেন ২টি পদ থাকলেও সব শূণ্য। ফার্মাসিস্ট আছেন ১জন, এফডাব্লিউভি আছেন দু’জন, জোনাল ইনচার্জ তিনজন, মাঠ কর্মী আছেন ১৪ জন। এখানে চাহিদা অনুযায়ী প্রতি মাসে ১৫/১৬ প্রকার ওষুধ কেসিসির পক্ষ থেকে দেয়া হয় আর সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে ১০/১২ প্রকার ওষুধ দেয়া হয়। এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন রোগী চিকিৎসা নেন। ওষুধের চাহিদা পত্র দু’সপ্তাহ আগে দেয়া হয়। সে অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহ করা হয়। হাসপাতালের ইনচার্জ আসমা খাতুন বলেন, দীর্ঘ ২৬ দিন পর বুধবার চিকিৎসক যোগদান করেছেন। এতে এলাকাবাসীর ভোগান্তি দূর হলো।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button