ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি : জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্কে উপকুলবাসী
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ বঙ্গোপসাগারে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় গতকাল থেকে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সাথে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। মৃদু বাতাস বইছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোলিনী, কুড়িকাহুনিয়া, কামালকাটি, কোমরপুরসহ বিভিন্ন স্থানের কমপক্ষে ৯টি পয়েন্টে ৫ কি:মি: বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। আর এসব জরাজীর্ণ বেঁড়িবাধ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে উপকুলের হাজার হাজার মানুষ। নদনদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, উপকূলীয় অঞ্চলে বর্তমানে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় হালকা ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাতের সাথে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। সেই সঙ্গে মৃদু বাতাস বইছে।
জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার ১৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ ৮৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ জন মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলায় ৫ লাখ টাকার গো খাদ্য, ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য, ৮০০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ অর্থ প্রায় ৭ লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া জরুরী ত্রাণের জন্য ৪’শ ৪২ মেট্রিকটন চাল মজুত রয়েছে। দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে সাতক্ষীরায় কর্মরত সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে।
এছাড়া সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, সাতক্ষীরায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৬ ’শ ৮৩ কি:মি: বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি পয়েন্ট বেড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক মোকাবেলায় ১১ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।