স্থানীয় সংবাদ

পল্লীমঙ্গল গালর্স হাই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষকের জালিয়াতি

জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীর পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের, সোনাডাঙ্গা খুলনা এর সহকারি প্রধান শিক্ষক মো: হাতেশ শেখ এর বিরুদ্ধে চাকরিতে যোগদানের সময়ে ভুয়া কম্পিউটার জাল সনদে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি খুলনা কলেজিয়েট স্কুলে সহকারী শিক্ষক ( কম্পিউটার) হিসেবে ১২ সালে নিয়োগ পেলেও তার কম্পিউটার সনদটি ২০১৬ সালের অর্জন।
এ বিষয়ে থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় কোতায়ালী, খুলনা তাকে নিয়োগ পুর্ববর্তী সময়ে অর্জিত কম্পিউটার সনদ সংযুক্তকরণ করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ওই সহকারি প্রধান শিক্ষক দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে নগরীর পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো: হাতেশ শেখ তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন ২০১০ সাল এবং ২০১৬ সালের দুইটারই সার্টিফিকেটই ঠিক আছে। কোনটাও জাল সনদ না। এ বিষয়ে আপনার সাথে সামনাসামনি কথা বলতে চাই। কেউ আপনাকে আমার বিষয়ে আপনার সামনে ভুল উপস্থাপন করেছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক হাতেশ শেখ দেওয়া গত ২ অক্টোবর থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কোতয়ালী থানা, খুলনা মো: আবদুল মমিন স্বাক্ষরিত এক পত্রে উল্লেখ করা হয়, অনলাইনে প্রেরিত আপনার এমপিও আবেদন ( ট্রান্সফার) যার ডকেট নং ২০২৪৯১২৫৭২০-১৫৫৩৯, তারিখ ১২-০৯-২০২৪ অনুসারে এমপিও সফটওয়্যারে ‘আদার ডকুমেন্টস কলামে’ ্এ সংযুক্ত কম্পিউটার সনদটি ২০১৬ সালে অর্জিত। জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১০ অনুযায়ী ৃনিয়োগকালে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষন সনদ ( প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) থাকার কথা থাকলেও আপনার অনলাইনে প্রেরিত এমপিও আবেদনে অর্জিত কম্পিউটার সনদটি নিয়োগ প্রাপ্তির প্রায় ৪ বছর সময় অতিক্রান্ত। নিয়োগের পুর্বে অর্জিত কম্পিউটার সনদ সংযুক্ত করে পুনরায় অনলাইনে আবেদনটি প্রেরনের জন্য অনুরোধ করা হলো।
জানা গেছে, পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: হাতেম শেখ ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল নিয়োগপত্র দেওয়া হয় এবং একই বছরে ১লা মে যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি খুলনা কলেজিয়েট স্কুলে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) হিসাবে ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর নিয়োগ পেয়ে একই বছরে ৩১ ডিসেম্বর যোগদান করেন এবং ২০১৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর এমপিও ভুক্ত হয়। সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) হিসাবে ২০১২ সালে নিয়োগ পেলেও তার কম্পিউটার সনদটি ২০১৬ সালে অর্জন। চলতি বছরের গত ১লা মে যোগদান দানের পরে পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তার বেতনের জন্য মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করলে থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, কোতোয়ালি, খুলনার নজরে আসায় আবেদনটি রিজেক্ট করে দেয় এবং বিদ্যালয় সভাপতি ও উর্ধতন শিক্ষা অফিসে অনুলিপি প্রেরণ করেন।
জানা গেছে, পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো: হাতেশ শেখ খুলনা জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। মো: হাতেশ শেখএর ছবিসহ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৮ নং বাজুয়াবাসীর পক্ষ থেকে শেখ সোহেল যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছা অভিনন্দনের পোষ্টার সাটানোও রয়েছে। শিক্ষক মো: হাতেশ শেখ খুলনা যুবলীগের আহবায়ক শেখ সাহাজালাল হোসেন সুজনের ভগ্নিপতি হিসাবে ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদেরকে ত্রাস সৃষ্টি করে জোরপূর্বক বিভিন্ন অনিয়ম করাতে বাধ্য করেন এমন অভিযোগও রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button