ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন

৪নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তুহিন

স্টাফ রিপোর্টার ঃ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, ছাত্র জনতার অর্জনকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মাফিয়া নেত্রী শেখ হাসিনার কথোপকথোন প্রকাশ হয়েছে তাতে উনি বলেছেন চট করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়বেন। বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মাফিয়া নেত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ধরে এনে তার তৈরী করা আয়না ঘরে চট করে ঢুকিয়ে রাখতে হবে। হাসিনাদের জন্য বাংলায় কোন জয়গা হবে না। গত ১৬ বছরে হাসিনা সরকার ১৩ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। ১লক্ষ ২০ হাজার মামলা দিয়ে ১ কোটি ৬০ লক্ষ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়ে। সমুদ্রের সকল পানি যদি কালি হয়, সে কালি দিয়ে যদি হাসিনা সরকারের দুঃশাসনের কথা লেখা হয় সে কালি ফুরিয়ে যাবে কিন্তু হাসিনার অপশাসনের কথা লেখা শেষ হবে না।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) নগরীর দৌলতপুর থানা অর্ন্তগত ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব আইন সংশোধন করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলেন। সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় তিনি বলেছিলেন শেখ মুজিব আজীবন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকবেন। শেখ হাসিনাও বাবার পথে হাটতে যেয়ে ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়ে ছিলেন। কিন্তু তার সে স্বপ্ন পুরণ হয়নি। ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বিএনপি বিশ্বাস করে এদেশে গনতন্ত্র ফিরে আসবে। বিএনপির জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করেন। বিএনপির নাম ব্যবহার করে কেউ কোন ধরনের অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ইতিমধ্যে ৩৯জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী দল প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কোন কোন রাজনৈতিক দল হাসিনাকে ক্ষমা করে দেয়ার করা বলেছেন। খুনি হাসিনাকে ক্ষমা করার কোন সুযোগ নেই-বাংলার মাটিতে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা। বিএনপি নেতা লিয়াকত হোসেন লাভলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন থানা বিএনপির আহবায়ক মুর্শিদ কামাল, বিশেষ বক্তা ছিলেন থানা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ ইমাম হোসেন। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত রেহানা ঈসা, নুরুল হাসান রুবা, শেখ সাদী, নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল ওহাব, খবির উদ্দীন, জয়নাল আবেদীন, আনসার আলী, সাইফুল ইসলাম মামুন, ইকবাল কবির, এনামুল কবির মাসুম, আরমান হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, মোক্তার হোসেন, আনোয়ার কামাল, মিজানুর রহমান, নিজাম উদ্দিন বাবলু, সামদানি মোল্লা, এরশাদ হোসেন ডাবলু, শেখ নাজিম, সোহেল মোল্লা, এম এম জসিম, সালমা বেগম, মঞ্জুয়ারা, ফিরোজা বেগম, মাহবুব হোসেন, মেহেদী হাসান প্রমূখ। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি পদে লিয়াকত হোসেন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাইফুল ইসলামকে নির্বাচিত ঘোষনা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক রেহানা ঈসা।