কথিত বিএনপি নেতা খায়রুল কর্তৃক বাড়ী দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ কথিত বিএনপি নেতা খায়রুল কর্তৃক জোরপুর্বক বাড়ী দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নগরীর খালিশপুর এলাকার বাসিন্দা মাহাবুবুর রহমান খান। গতকাল শনিবার বেলা ১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার বড় ভাই মিজানুর রহমান তার দাম্পত্য জীবনে ছিলেন একজন অসুখী মানুষ। তার কারণ, তার স্ত্রী শামীমা রহমান স্থানীয় ডিস ব্যবসায়ি ও কথিত বিএনপি নেতা খায়রুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। আমার ভাই অনেক চেষ্টা করেও ভাবিকে এই পাপের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন নি। এমনকি একাধিকবার পবিত্র কোরআন শপথ করেও পরকীয়া চালিয়ে যেতে থাকে। ফলে দিন দিন মানুষিক যন্ত্রণায় আমার ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ থাকা অবস্থায় আমার ভাইয়ের উপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করতো তার স্ত্রী শামীমা রহমান এবং ডিস ব্যবসায়ি খায়রুল ইসলাম। ফলে মানুষিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্ব মৃত্যুবরণ করেন। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর ৯ মাসের মাথায় ২০১৯ সালের ২১ জুন শামীমা রহমান তার কথিত প্রেমিক খায়রুলকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তারা দুজন মিলে আমাদের সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করে আসছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, খালিশপুর হাউজিং এষ্টেটের সেন্ট্রাল সাউথ ব্লকের ২০০ বর্গগজের আয়তনের ৪২ নং প্লটটির ক্রয়সূত্রে মালিক ছিলেন আমার মা মিসেস সুরাইয়া বেগম। আমার মা জীবিত থাকা অবস্থায় ওই প্লটে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন। ২০০৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আমার মা মৃত্যু বরণ করেন। মা এবং বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর ২০০ বর্গগজের আয়তনের ওই জমি আমরা চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হয়। বাটোয়ারা অনুযায়ি আমরা জীবিত তিন ভাই ৪০ বর্গগজ করে, দুই বোন ২০ বর্গগজ করে এবং বড় ভাইয়ের ছেলে ২৩.৩৪ বর্গগজ, বড় ভাইয়ের মেয়ে ১১.৬৬ বর্গগজ ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী শামীমা রহমান ৫ বর্গগজ সম্পত্তি লাভ করেন। কিন্তু ভাগবাটোয়ারা হওয়ার পরও শামীমা রহমান ও তার বর্তমান স্বামী নামধারী বিএনপি নেতা খায়রুল ইসলাম দোতালার পুরোটাই জোরপূর্বক দখল করে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চালাছে। নীচতলায় বসবাসরত আমার বড় বোনকে উচ্ছেদ করে দখল নেওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এছাড়া অকথ্য ভাষায় প্রতিনিয়ত গালিগালাজ করে পেশী শক্তির ব্যবহার করে পুরো বাড়ি দখল করার চেষ্টা করছে। ফলে গত ২/৯/২৩ তারিখে আমরা খালিশপুর থানায় একটি জিডি করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে শেখ পরিবারের একজন প্রভাবশালী সদস্য ও খুলনা ভিষণের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সহযোগিতায় আমাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। আমরা তিন ভাই চাকুরীর সুবাদে খুলনার বাইরে অবস্থান করায় আমার বড় বোনকে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার জন্য মানষিক চাপ সৃষ্টি করছে। আর তাদেরকে সহযোগিতা করছে শামীমা রহমানের ছোট বোন এ্যাডভোকেট ফাতেমা খন্দকার রিমা এবং নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী খায়রুলে ভাই বেলাল এবং ভাতিজা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী পরিচয়দানকারী ফারিম। ডিস ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম এতোদিন শেখ পরিবারের প্রভাব দেখিয়ে আমাদের সম্পত্তি দখল করে আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার পর রাতারাতি ভোল পাল্টে নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে। আমাদের বাসভবনের দোতালা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বললে এখন বিএনপির ভয় দেখায়। ফলে নীচতলায় বসবাসরত আমার বড় বোন সার্বক্ষণিক আতংকে থাকেন। যে কোন সময় তারা আমার বড় বোনের ক্ষতি করতে পারে।