খুলনায় ৩০ জনসহ ১০ জেলায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ১১৮ জন
# এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ডেঙ্গু রোগী ছাড়াল ৫০৫৭ জন, মৃত্যু -১৭ #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত একদিনে খুলনায় ৩০ জন সহ ১০ জেলায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছ ১১৮ জন। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেহ হাসপাতাল ১৭ জন ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ সমেয় মৃত্যুর কোন খবর পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ১০ জেলাসহ দুই সরকারি হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৫০৫৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অধিদপ্তরের ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ওই ডেঙ্গু রিপোর্ট প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়. গত ২৪ ঘন্টায় ( রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) খুলনা বিভাগে ১০ জেলায় ও দুই সরকারি হাসপাতাল মিলে মোট ডেঙ্গ রোগী ভর্তি হয়েছে ১১৮ জন। এর মধ্যে খুলনায় একদিনে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৩০ জন। এছাড়া বাগেরহাটে ৩ জন, সাতক্ষীরায় ১ জন, যশোরে ১৬ জন, ঝিনাইদহ ২ জন, মাগুরায় ১১ জন, নড়াইলে ১২ জন, কুষ্টিয়ায় ২৫ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১২ জন, মেহেরপুরে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ জন এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৫ হাজার ৫৭ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। এর মধ্যে খুমেক হাসপাতালে চিবিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের । এছাড়া খুলনায় ১ জন, যশোরে ৩ জন, ঝিনাইদহ ১ জন এবং কুষ্টিয়ায় একজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। এছাড়া এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী ভর্তির মধ্যে খুলনায় মোট ১৪৩০ জন, বাগেরহাটে ৬৮ জন, সাতক্ষীরায় ১২১ জন, যশোরে ৭৫৬ জন, ঝিনাইদহ ৩৩৫ জন, মাগুরায় ১৬৪ জন, নড়াইলে ৪১৯ জন, কুষ্টিয়ায় ৫৩৯ জন. চুয়াড্ঙ্গাায় ৮২ জন, মেহেরপুরে ৪৫২জন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২১ জন এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৭০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে খুলনা বিভাগে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন ৩৪৪ জন। রেফার্ড করা হয়েছে ৬৮ জনকে। খুমেক হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১৭ জন। এ সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ জন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬০১ জন রোগী ভর্তি হন। এসময়ে মোট মৃত্যু হয় ১১ জনের। বর্তমানে ৮৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।