স্থানীয় সংবাদ

উর্দ্ধমুখি আলু পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি

# পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ২০-২৫ টাকা #

মোস্তফা কামাল ঃ আমদানির পরও দেশের বাজারে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। পাইকারিতে একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। খুচরা বাজারেও বেড়েছে সমানতালে। দাম বেড়েছে আলুরও। সরকার দাম বেঁধে দিলেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। সরকারের নির্দেশনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছে বাজার সিন্ডিকেট। খুলনার সোনাডাঙ্গা পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এলসি পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১০২-১০৪ টাকায়, খুচরা বাজারে ১১৫-১২০ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১৫-২০ টাকা বেশি। দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়, খুচরা বাজারে ১৫০-১৫৫ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০-২৫ টাকা বেশি। পাইকারি বাজারে আলুর দাম ৫৫-৫৬ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। সরকারি নির্দেশনা না মেনে ডিম আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। সবজির দামও আগের মতই। ক্রেতাদের অভিযোগ, এভাবে দাম বাড়াতে থাকলে মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে যাবে। নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানষের আয় বাড়েনি কিন্তু জীবিকা নির্বাহের খরচ বেড়েছে। সব সরকারই কি সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়। মাঠ পর্যায়ের তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের লোক দেখানো অভিযানকে দ¦ায়ী করেছেন তারা। খুচরা ব্যবসায়ী রকিবুল ইসলাম বলেন, পাইকারিতে দাম বাড়ায় আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি দামের উপর পরিবহন খরচ, কিছু পণ্য নষ্ট,ভাড়া এসব হিসাব করে লাভ রেখে বিক্রি করি। দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হয় জানি কিন্তু আমাদের কি করার আছে। আমিতো আর লসে বেঁচতে পারবো না। পাইকারী ব্যবসায়ী মোঃ আবুল খায়ের বলেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজ, আলুর দাম বাড়ছে। আমরা দাহিদা মাফিক পণ্য পাচ্ছিনা। ফলে দাম বেড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া গেল কদিনের অতি বৃষ্টির ফলেও দাম বাড়তে পারে।
মোহসীন রেজা একটি ফিস ফিড কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার। নগরীর গল্লামারী কাঁচাবাজারে এসেছেন প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য কিনতে। তিনি জানান, এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে আমাদের মত নিম্নআয়ের মানুষ চলবে কি করে। ক্ষোভ প্রকাশ কওে তিনি বলেন, বাজাওে যারা দাম বাড়ায় তারা কি সরকারের থেকে শক্তিশালী! নতুন বাংলাদেশে দেশের মানুণ যেন স্বাচ্ছন্দে খেয়ে পওে বাচতে পাওে সেই ব্যবস্থা করার দাবী জানান তিনি। জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক জনাব ওয়ালিদ বিন হাবিব বলেন, ইতোমধ্যে দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণে সরকার সারাদেশে টাস্কফোর্স গঠন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় নিয়মিত অভিযান চলছে। আজও নগরীর ফুলবাড়িগেট, কুয়েটসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সন্ধা বাজারে দুটি প্রতিষ্ঠানকে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button