স্থানীয় সংবাদ

মাছ কোম্পানীর নারী শ্রমিককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার ঃ মাছ কোম্পানীর নারী শ্রমিককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী রূপসা আদালত, খুলনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার সিআর নং-৭২০/২৪। ধারা: ৩২৩/৩৫৪/৫০৯/৫০৬(রর) দঃ বিঃ। আদালত শুনানী শেষে রূপসা থানিার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেন। আসামী মোঃ এরশাদ আলী (৪০) ইলাইপুর পূর্ব রূপসার ফ্রেশ ফুডস লিমেটেড ম্যানেজার। গত ৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রূপসার ইলাইপুর ফ্রেশ ফুড লিমেটেডের আসামীর অফিস রুমে এ ঘটনা ঘটে। বাদী গত ২৩ জুলাই’ ২৪ তারিখ থেকে আসামীর উপরোক্ত ঠিকানা বর্ণিত প্রতিষ্ঠান ফ্রেশ ফুড লিমেটেড-এ ইন্সপেক্টর পদে চাকুরী করছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে বাদিনী ছাড়াও আরো অনেক মহিলা কাজ করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানে বাদিনী কর্মরত থাকা অবস্থায় আসামী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তার অফিসে বিভিন্ন প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে বাদীকে ডেকে পাঠায়। বাদিনীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিভিন্ন তথ্য জানতে চান এবং বাদিনীর প্রতি আসামী বিভিন্ন আকার ও ইঙ্গিতে লোলুপ দৃষ্টি দেন। বাদিনী তা বুঝতে পেরেও সে বিষয়টি মানসম্মানের ভয়ে এড়িয়ে যায়। তারই এক পর্যায়ে ঘটনার তারিখের কিছুদিন পূর্বে আসামী বাদিনীর পরিহিত পোষক-পরিচ্ছদ নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন। আসামী বাদিনীকে তার সাথে বিভিন্ন স্থানে ছুটির দিনে ঘুরতে যাবার প্রস্তাব দিতে থাকেন। বাদিনী বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তার এই সকল প্রস্তাব অগ্রাহ্য করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় অত্র মামলার ঘটনার তারিখ বাদিনী নিচ তলা থেকে আসামীর অফিসের সামনে থেকে দ্বিতীয় তলায় তার কর্মস্থলে যাবার সময় আসামী বাদিনীকে তার রুমে ডাকে এবং বসতে বললে বাদী সেখানে বসে জানতে চান স্যার কিছু বলবেন? তখন আসামী বাদিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “তুমি আমাকে খুশি করবা, আমিও তোমাকে খুশি করব।” এই কথা বলে আসামী বাদিনীকে হাত ধরে ঝাপটে ধরে গালে চুমু খেতে উদ্যত হন। তখন বাদিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ও ধস্তাধস্তি করে ১নং আসামীকে প্রতিহত করেন এবং বাদী আসামীর গালে চর মারেন। বাদী বলে, আপনি বেশী বাড়া করলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব এবং সবাইকে এই ঘটনার বিষয়ে অবহিত করতে বাধ্য হব। বাদিনী ও আসামীর মধ্যে কথাকাটাকাটির উচ্চ শব্দ শুনে তখন ঘটনাস্থলে স্বাক্ষী এসে উপস্থিত হয়ে বাদীর কাজে জানতে চান, কেন ঝগড়া হয়েছে। তখন ম্যানেজার অর্থাৎ আসামী তাদের বলে ও কাজে ফাঁকি দেয় তাই আমি ওর সাথে রাগারাগি করেছি, তোমরা চলে যাও। আসামী বাদিনীকে বলে এই বিষয় নিয়ে কোথাও কারও কাছে অভিযোগ করলে বা কাউকে কিছু জানালে তোমার চাকুরী থাকবে না এবং তোমার পরিণাম হবে ভয়াবহ। এর আগে যারা বাড়াবাড়ি করেছে তারা কেউ কিছুই করতে পারে নাই। বরং তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাদী উক্ত স্থান থেকে দ্রুত তার নিজস্ব কাজে ফিরে আসে। কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে এসে তার স্বামীকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। বাদিনী স্বামীর কথামত পরের দিন কর্মস্থলে যাননি। পরবর্তীতে জি.এম মোঃ শফিকুর রহমান ও এডমিন অফিসার মোঃ হামিদুল ইসলাম বাদীকে ডেকে পাঠায় এবং কাজে আর যোগ দিতে বারণ করে। পরবর্তীতে বাদীর স্থানে অন্য একটি মেয়েকে নিয়োগ দেয়। বাদী উক্ত বিষয় নিয়ে তার আত্মীয়স্বজনের সাথে আলোচনা করে অত্র মামলা দায়ের করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button