স্থানীয় সংবাদ

দিঘলিয়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে মামলা করায় মিথ্যা হয়রানী ও হুমকি

দিঘলিয়া প্রতিনিধি ঃ দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের সেনহাটি মৌাজার ১.৬২ একর জমির পৈতৃক সূত্রে মালিক দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী, জয়দেব চক্রবর্তী ও অশোক চক্রবর্তী। কিন্তু বিআরএস রেকর্ডে ভূলক্রমে ১.৪২৪৩ একর জমি তাদের নামে রেকর্ড হয়। রেকর্ড মূলে দেখা যায় তাদের জমি ভূল বশতঃ. ১৯৫৭ একর জমি অন্যের নামে রেকর্ড হয়েছে। ফলে উক্ত জমির মালিক জমি বুঝিয়া পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা দায়ের করার পর বিবাদী তাকে নানাভাবে মিথ্যা অভিযোগে হয়রানী ও হুমকি ধামকি প্রদান করছে।
বিবরণে জানা যায়, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি মৌজার এস এ ৯৮৬ নং খতিয়ানের ২৬৮০, ২৪০৬ ও ২৬৭৪ দাগের ১.৬২ একর সম্পত্তি যাহা বর্তমান আরএস ১১০৩ নং খতিয়ানে ৪৬২৬ দাগে . ০২২৫ একর, ৪৬৩৯ নং দাগে . ৪২৮৭ একর, ৪৬৭২ দাগে . ০২০৬ একর, ৪৬৭৪ দাগে . ৯৫২৫ একর জমি প্রকৃত মালিক অশোক চক্রবর্তী, জয়দেব চক্রবর্তী ও দেবপ্রসাদ চক্রবর্তীর নামে রকর্ড হয়। কিন্তু ভুলক্রমে আর এস ৪৮২ নং খতিয়ানের ৪৬৭২ দাগে . ৫৮৫০ একর, আর এস ৫০৩ নং খতিয়ানের ৪৬৩৯ দাগের . ১৮৭৫ একর মোট . ৭৭২৫ একরের মধ্য থেকে . ১৯৫৭ একর জমি বিবাদী নওশের শেখ, লিয়াকত শেখ, হেদায়েত শেখ ও হেলাল শেখ, মাহমুদা, মোঃ এজাজ, মোঃ বাবুল, মোঃ গোলাম রসুল খান সবুজ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ মাসুম, টুকু খানম এর নামে রেকর্ড হয়েছে। যা মিলিতভাবে প্রকৃত মালিকের (১.৪২৪৩+.১৯৫৭) একর= ১.৬২ একর জমি পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জমি। উক্ত জমির বর্তমান মালিক বেদখল জমি ভুল ক্রমে বিবাদীগণের নামে আর এস হওয়া জমির রেকর্ড পাওয়ার জন্য আদালতে উক্ত বিবাদীগণকে বিবাদী করার পর হেদায়েত শেখ গং উক্ত জমির বর্তমান মালিকগণের বিরুদ্ধে কন্টিনজেন্ট কমান্ডার নৌবাহিনী ক্যাম্প দিঘলিয়ায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বর্তমান মালিকগণের কাগজপত্র বিচার বিশ্লেষণ করে আদালতের ফয়সালায় জমির মালিকানা যাকে দেয় সেই জমির প্রকৃত মালিক হবে সে পর্যন্ত উভয় পক্ষকে শৃংখলা বজায় রাখতে নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু বিবাদীগণ দিঘলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে গিয়ে নানা হুমকি ধামকি প্রদান করছেন। এমন কি বাদীকেও হুমকি ধামকি প্রদান করছেন।
উল্লেখ্য উক্ত জমি এস এ ও আরএস রেকর্ড অনুযায়ী জমির মালিকানা বাদীর। তারপরও বাদীর পক্ষে গেজেটও আছে। তার জমি অন্যের নামে রেকর্ড হয়েছে। রেকর্ড সংশোধনের জন্য খুলনার দৌলতপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করার পর থেকে বিবাদীগণ নানাভাবে হয়রানী ও মিথ্যাচার অব্যাহত রেখেছে। যা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং শৃঙ্খলা ভংগের শামিল বলে বিজ্ঞমহলের অভিমত। এদিকে বিবাদী হেদায়েত শেখ বলেন আরএস এ দাগ ভুল হলেও জমি তাদের মধ্যে নেই।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button