খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকদের উৎসব ভাতা পরিশোধের দাবিতে স্মারক লিপি পেশ
স্টাফ রিপোর্টারঃ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল খালিশপুর জুট মিলটি রাষ্ট্রীয়ভাবে উৎপাদন চালুকরণ এবং খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকদের ২০১৫ সালের মজুরী কমিশনের বকেয়া, সরকার ঘোষিত করোনা কালীন সাধারণ ছুটির বকেয়া এবং ৬০ দিনের নোটিশ পে এবং দু’টি উৎসব ভাতা পরিশোধ করণের দাবিতে প্রকল্প প্রধানের নিকট স্মারক লিপি প্রদান করেছে শ্রমিকরা। বুধবার সকালে এ স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিক নেতা মনির হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানানো হয়। ওই স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, খালিশপুর জুট মিলটি উৎপাদন দিক থেকেও মিলটি ভাল অবস্থান ছিল, কিন্তু দুঃখের বিষয়, স্বৈরাচারী আ’লীগ সরকার গত ২০২০ সালের ২ জুলাই মাসে রাতের অন্ধকারে হঠাৎ করে মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। যার ফলে খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকগণ দিশেহারা হয়ে যায়। ছেলে-মেয়ের লেখা পড়া বন্ধ সহ বৃদ্ধ পিতা মাতার চিকিৎসা ব্যাহত হয়। পাশাপাশি পরিবার পরিজনসহ মানবেতর জীবন যাপন করছে। ইতিমধ্যে ২০১৫ সালের মজুরী কমিশনের বকেয়া এবং ৬০ দিনের নোটিশ পে অন্যান্য মিলগুলি পেলেও খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকগণ ২০১৫ সালের মজুরী কমিশনের বকেয়া, সরকার ঘোষিত করোনা কালীন সাধারণ ছুটির বকেয়া এখন পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি। অথচ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রম অধিদপ্তর বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, খুলনা স্মারক নম্বর- ৪০.০২.০০০০.১০৩.১৬.০০৭.২৩.১৫৪১, তারিখ- ৮ অক্টোবর ২০২৪ মোঃ মিজানুর রহমান, পরিচালক স্বাক্ষরিত ১টি পত্রে লিপিবদ্ধ করেছেন, নয়টি পাটকলের শ্রমিকদেরকে ষাট দিনের নোটিশ পে শ্রমিকদের পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকদেরকে এখন পর্যন্ত উক্ত নোটিশ পে’’র টাকা পরিশোধ করা হয়নি। যার ফলে শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ, অসন্তোষ বিরাজমান। যেকোন মূহুর্তে শিল্প অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা ব্যাহতসহ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য কারখানা কমিটির নেতৃবৃন্দ দায়ী থাকবে না, মিল কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। অবিলম্বে খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকরা যাতে উল্লেখিত পাওনাদি পেতে পারে তার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানানো হয়।