বিএল কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে প্যানা অপসারণের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক অবৈধভাবে অপসারিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রীনিবাসের নামফলক সম্বলিত প্যানা টানানোর সময়ে বাঁধা প্রদান করায় বিএল কলেজ অধ্যক্ষ সেখ মো. হুমায়ুন কবীরের পদত্যাগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অর্থনীতি বিভাগ- মাস্টার্স শেষবর্ষের ছাত্র ও সরকারি বিএল কলেজ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহবায়ক ইয়াছিন গাজী।
লিখিত বক্তব্য বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জীবনবাজী রেখে আন্দোলন-সংগ্রামে গেল ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানের মধ্যদিয়ে জাতি স্বপ্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছিল। তখনই হতবাক হয়েছি, বিএল কলেজের নবাগত অধ্যক্ষ প্রফেসর সেখ মো. হুমায়ুন কবীরের কর্মকান্ড দেখে। ২০২০ সালের দিকে বিএল কলেজ অভ্যন্তরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে নামকরণকৃত ছাত্রীনিবাসের নামফলক রাতের আঁধারে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ। অধ্যক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বেগম খালেদা জিয়া হলের নামফলকের স্থানে প্যানাসাইন টানাতে গেলে যৌথবাহিনী দিয়ে চরম অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করেছেন অধ্যক্ষ সেখ মো. হুমায়ুন কবীর। ঐতিহ্যবাহী বিএল কলেজ অভ্যন্তরে নগ্ন দুর্ব্যবহার ও ফ্যাসিষ্ট আচরণের বহিঃপ্রকাশ করায় আগামী সাতদিনের মধ্যে অধ্যক্ষ সেখ মো. হুমায়ুন কবীরের পদত্যাগের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় নির্ধারিত সময়ান্তে রাজনৈতিক অভিভাবক সংগঠনসমূহের সাথে পরামর্শ করে দুর্বার আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে ছাত্রদল। এতে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর দুর্ঘটনা ঘটলে তার জন্য একমাত্র দায়ী থাকবেন বিএল কলেজের অধ্যক্ষ।
আরও উল্লেখ করা হয়, ২৯ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে যেয়ে খুলনা মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক শেখ সাদী, বিএল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও নগর ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ শাহেদ, কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ-সময় নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রনিবাসের নামফলক অপসারণের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়। গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মাসুদ পারভেজ বাবু ও শেখ সাদী, দৌলতপুর থানা বিএনপি’র আহবায়ক মুর্শিদ কামাল ও সদস্য সচিব ইমাম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার নূর ইসলাম বাচ্চুসহ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ অধ্যক্ষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গেল দু’দিনের সৌজন্য সাক্ষাতের অধ্যক্ষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রনিবাসে নামফলকের স্থানে প্যানাসাইন টানাতে সানন্দে অনুমতি প্রদান করেন। কলেজ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রীনিবাসের নামফলক প্যানা টানাতে গেলে যৌথবাহিনী ভাকিয়ে নেতৃবৃন্দকে আটকের অপচেষ্টা চালিয়েছেন অধ্যক্ষ সেখ মো. হুমায়ুন কবীর। ঘটনার পরে ছাত্রদল ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে গেলে তিনি একটি বিশেষ সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে ডেকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। দ্বিমুখী আচরণ করে মনুষ্যত্ব বিবর্জিত আচরণের বহিঃপ্রকাশ করেছেন তিনি। এধরণের মনুষ্যত্বহীন ব্যক্তি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বিএল কলেজের সর্বোচ্চ পদে আসীন থাকতে পারে না। তাই আগামী সাতদিনের মধ্যে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার দোসর অধ্যক্ষ প্রফেসর সেখ মো. হুমায়ুন কবীরকে পদত্যাগ করে ছাত্র- জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বপক্ষের খাঁটি দেশপ্রেমিক শিক্ষককে দায়িত্ব অর্পনের জোর দাবি জানানো হয়। অন্যথায় রাজনৈতিক অভিভাবক সংগঠনের সাথে পরামর্শ করে দুর্বার আন্দোলনের যেতে বাধ্য হবো।